রেড নোটিশ কী এবং কেন এত ভয়ঙ্কর?
ইন্টারপোলের রেড নোটিশ মানে বিশ্বজুড়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে সতর্কবার্তা—এই ব্যক্তি ফৌজদারি মামলার আসামি এবং তাকে গ্রেফতার করে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। এই নোটিশ কার্যকর হলে ১৯৫টি দেশে অভিযুক্তদের প্রবেশ বা আশ্রয় নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
কারা আছেন এই তালিকায়?
বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (NCB) ইতোমধ্যেই তিন ধাপে ইন্টারপোল সদর দপ্তরে রেড নোটিশের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। তালিকায় আছেন:
- 
শেখ হাসিনা (সাবেক প্রধানমন্ত্রী)
 - 
ওবায়দুল কাদের
 - 
আসাদুজ্জামান খান কামাল
 - 
জাহাঙ্গীর কবির নানক
 - 
আ ক ম মোজাম্মেল হক
 - 
তারেক আহমেদ সিদ্দিকী
 - 
হাসান মাহমুদ
 - 
আরাফাত রহমান
 - 
নসরুল হামিদ বিপু
 - 
বেনজীর আহমেদ
 - 
মুহিবুল হাসান চৌধুরী
 - 
শেখ ফজলে নূর তাপস
 
কলকাতার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে কাদের
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ওবায়দুল কাদের বর্তমানে অবস্থান করছেন কলকাতার রাজারহাট নিউটাউনের 'ডিএলএফ নিউটাউন হাইটস প্লাজা'-র একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে। গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন, কিন্তু সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেও চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন।
পালাবেন না, বলেছিলেন তিনিই
“পালাবো না। প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠবো”—এই ঘোষণা দিয়ে একসময় রাজনৈতিক সাহসের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন কাদের। বলেছিলেন, “জায়গা না পেলে ঠাকুরগাঁওয়ে আমাদের বাড়ি তো আছেই।” অথচ আজ সেই মানুষটি দেশের মাটিতেই নেই, আর যারা তাঁকে অনুসরণ করতেন—তারা কেউ জেলে, কেউ গা ঢাকা দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক নজরদারির জালে আওয়ামী শীর্ষ নেতারা
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ কার্যকর হলে আশ্রয় নেওয়া দেশগুলোতেও এসব নেতার অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। বিশেষত, যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে—সেসব দেশ থেকে গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি।
বিচার দাবি আরও জোরালো
আন্তর্জাতিক মহলে এখন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের প্রত্যাশাও একটাই—যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিচার হোক, তারা যত শক্তিশালীই হোক না কেন।
		
				
			


















