বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ইসলাম ও মুসলিম সম্প্রদায়কে ঘিরে সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংসতার নানা অভিযোগ ও বিতর্ক বারবার সামনে আসে। গণমাধ্যম, রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে অনেক সময় এমন একটি চিত্র আঁকা হয় যেন সহিংসতা ও অশান্তির মূল উৎসই মুসলিম বিশ্ব। কিন্তু বাস্তব পরিসংখ্যান ও ইতিহাস এক ভিন্ন চিত্রই তুলে ধরে।
(সূত্র- ইন্টারনেট সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়-
বিশ্বের শীর্ষ ১০টি পতিতাবৃত্তি-প্রবণ দেশের তালিকায় দেখা যায়, অধিকাংশ দেশই খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ। এর মধ্যে রয়েছে:
থাইল্যান্ড (বৌদ্ধ)
ডেনমার্ক, ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, নরওয়ে, বেলজিয়াম, স্পেন, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড (সব খ্রিস্টানপ্রধান)
অপরাধ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিশ্বের সর্বোচ্চ চুরির হারের দেশগুলোর তালিকাতেও অধিকাংশ খ্রিস্টানপ্রধান।
ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, সুইডেন, দক্ষিণ আফ্রিকা—সবই খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ।
৩।
মদ্যপানে সর্বোচ্চ আসক্তির দিক থেকেও মুসলিম দেশগুলো অনেক পিছিয়ে। বরং তালিকায় রয়েছে মল্ডোভা, রাশিয়া, ইউক্রেন, রোমানিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি খ্রিস্টানপ্রধান দেশ।
৪।
শীর্ষ ১০ খুনপ্রবণ দেশও মূলত ল্যাটিন আমেরিকা এবং আফ্রিকার কিছু খ্রিস্টানপ্রধান দেশ, যেমন: হন্ডুরাস, ভেনেজুয়েলা, বেলিজ, এল সালভাদর, বাহামা, জামাইকা ইত্যাদি।
৫।
বিশ্ববিখ্যাত অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর তালিকাতেও মুসলিমদের নাম নেই—
ইয়াকুজা (জাপান, নাস্তিক),
আরিয়ান ব্রাদারহুড (যুক্তরাষ্ট্র),
পাবলো এসকোবার (কলম্বিয়া),
জোয়াকুইন গুজম্যান (মেক্সিকো)
তারা কেউই মুসলিম নয়।
৬।
ইতিহাসের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধেও খ্রীষ্টানদেশগুলো জড়িত।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিলেন তারাই।
➡️মুসলিমরা নয়।
হিরোশিমা-নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলেছিলেন তারাই।
➡️মুসলিমরা নয়।
২০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী হত্যা করেছিলেন তারাই।
➡️মুসলিমরা নয়।
১০০ মিলিয়ন দক্ষিণ আমেরিকান রেড ইন্ডিয়ান, ৫০ মিলিয়ন উত্তর আমেরিকান আদিবাসী গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন।যার জন্য তারাই দায়ী।
➡️মুসলিমরা নয়।
১৮০ মিলিয়ন আফ্রিকানকে দাস বানিয়ে সাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, এটি কোনো মুসলিম জাতি করেনি।
তাহলে প্রশ্ন উঠছেই—
যেখানে বিশ্বজুড়ে বহু ভয়াবহ অপরাধ, সহিংসতা, মাদক ও চরমপন্থার মূল হোতা অমুসলিম গোষ্ঠী, সেখানে শুধু মুসলমানদের কেন সন্ত্রাসের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে?
এটি কি নিছক অপপ্রচার নয়?
নাকি এটি এক সুপরিকল্পিত বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র?
সমাধানের পথ:
বিশ্ব আজ সংঘাত, বিভেদ ও দোষারোপের রাজনীতিতে জর্জরিত। অথচ এই সময়ে আমাদের প্রয়োজন।
✔️শান্তির বার্তা ছড়ানো,
✔️সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা,
✔️ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা,
✔️এবং সত্যের পক্ষে সোচ্চার হওয়া।
আসুন,
ঘৃণা নয়—ভালোবাসার পথে হাঁটি।
বিভেদ নয়—ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দিই। শান্তি, সহনশীলতা, ও মানবিকতাকে সামনে রেখে একটি আলোকিত পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে হই ঐক্যবদ্ধ।