close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস আজ: বিলুপ্তির পথে বন্যপ্রাণী, প্রয়োজন সচেতনতার..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
আজ ৩ মার্চ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস। জলবায়ু পরিবর্তন ও বন উজাড়ের ফলে দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে বন্যপ্রাণী। এবারের প্রতিপাদ্য- ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন, মানুষ ও ধরিত্রীর উন্নয়ন’। বন্যপ্রাণী রক্ষায় প্রয়োজন ব..

আজ ৩ মার্চ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস’। একসময় গ্রাম-গঞ্জে অহরহ দেখা মিলতো নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণীর। কিন্তু এখন দিন দিন কমে আসছে এসব প্রাণীর সংখ্যা। জলবায়ু পরিবর্তন, নগরায়ণ, বন উজাড় ও শিকারিদের দৌরাত্ম্যে হুমকির মুখে পড়েছে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষাকারী এসব প্রাণী।

এবারের বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন, মানুষ ও ধরিত্রীর উন্নয়ন’। এ প্রতিপাদ্যের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়নের গুরুত্ব ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

বিলুপ্তির পথে বন্যপ্রাণী

এক সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেখা মিলতো হরিণ, ভালুক, বন বিড়ালসহ নানা বন্যপ্রাণীর। কিন্তু বর্তমানে এসব প্রাণী প্রায় বিলুপ্তির পথে। বন উজাড় ও খাদ্যের অভাবে বিপদে পড়েছে এরা।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, বর্তমানে বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির হার গত ১০ লাখ বছরের তুলনায় অন্তত দশ থেকে শতগুণ বেশি। এর অন্যতম কারণ হলো বন ধ্বংস এবং শিকারের প্রবণতা। বিশেষ করে লাতিন আমেরিকা ও আমাজনের মতো অঞ্চলগুলোতে বন উজাড়ের হার উদ্বেগজনক। ইতোমধ্যে আমাজনের ১৭ শতাংশ বন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আরও ১৭ শতাংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত।

বাংলাদেশে বন্যপ্রাণীর অবস্থা

প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন-এর তথ্যমতে, বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে ৩১টি প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এছাড়া দেশে বিদ্যমান প্রায় ১ হাজার ৬০০ প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে ৩৯০টি প্রজাতি এখন বিলুপ্তির পথে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো পদক্ষেপ না নিলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

বন বিভাগের ভূমিকা

উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “আধুনিক নগরায়ণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আশঙ্কাজনকভাবে বন্যপ্রাণীদের উপস্থিতি কমছে। আমরা বন উজাড় থেকে বিরত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।”

বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের সূচনা

২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে ৩ মার্চকে ‘বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১৪ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দিবসটির মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বজুড়ে বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ সংরক্ষণে সচেতনতা তৈরি করা।

করণীয়

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সবার আগে প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা। পাশাপাশি বন উজাড় বন্ধ করা, শিকার নিষিদ্ধ করা এবং সংরক্ষণে অর্থায়ন বাড়ানোর মতো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

পরিবেশ রক্ষায় আমাদের করণীয়:

  • বন উজাড় বন্ধ করা

  • বন্যপ্রাণী শিকারের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ

  • পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ

  • বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন বৃদ্ধি

উপসংহার

বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণে আমাদের ভূমিকার গুরুত্ব। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে, যাতে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।

Hiçbir yorum bulunamadı


News Card Generator