close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
অমর একুশে বইমেলায় ‘হাসিনা বিন’ নামক ডাস্টবিন বসিয়ে দেশজুড়ে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা।
বইমেলায় এই ডাস্টবিনের সামনে গিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রকাশ্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আয়োজকদের। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি বইমেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্টলে গিয়ে লিখেন—
📝 "হাসিনা বিনের জন্য ধন্যবাদ এবং প্রকাশনা ও সুভ্যেনিরগুলো ভালো হয়েছে।"
এরপর উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ উভয়ই এই ডাস্টবিনে ময়লা ফেলেন। এবং সেই ছবি নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
🔥 একের পর এক পোস্ট, সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড়!
📌 ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার):
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বইমেলার প্রথম দিনে এই ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার ছবি পোস্ট করেন। তার ক্যাপশনে লেখেন—
🗣 "শনিবার বাংলা একাডেমিতে একুশে বইমেলার প্রথম দিনে ডাস্টবিনে জঞ্জাল নিক্ষেপ।"
📌 ২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার):
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া একই কাজ করেন এবং নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করেন ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার ছবি। ছবির ক্যাপশনে লেখেন—
🗣 "নগরবাসী, যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলবেন না, উপযুক্ত স্থানে ফেলুন।"
💥 ‘হাসিনা বিন’ বসানোর পেছনে কী পরিকল্পনা?
বইমেলার প্রথম দিনেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেয়। পোস্টে তারা লিখেছিল—
📢 "আজ থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা-২০২৫। বইমেলায় এলে আপনার হাতের অপ্রয়োজনীয় ময়লা-আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলতে ভুলবেন না। মেলার অভ্যন্তরীণ পরিবেশ সুন্দর রাখুন, আবর্জনামুক্ত থাকুন।"
এই পোস্টের পরই ‘হাসিনা বিন’ নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সূত্রপাত হয়। অনেকেই এটিকে রাজনৈতিক ব্যঙ্গ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে সৃজনশীল প্রতিবাদ হিসেবে সমর্থন করছেন।
🔍 আলোচনা না কি বিতর্ক?
এই ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কেউ বলছেন, এটি একটি প্রতিবাদের ভাষা, আবার কেউ বলছেন এটি অশালীন ও অগ্রহণযোগ্য কাজ।
এদিকে, অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—
❓ এই ‘হাসিনা বিন’ স্থাপনের অনুমতি কি বইমেলা কর্তৃপক্ষ দিয়েছে?
❓ কেন এই ডাস্টবিন বসানো হলো, এবং এর আসল উদ্দেশ্য কী?
🔥 এখন প্রশ্ন হলো— এই বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে বইমেলা কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেবে?
✅ আপনার মতামত কী? ‘হাসিনা বিন’ কি গ্রহণযোগ্য প্রতিবাদ, নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিতর্ক? মন্তব্যে জানান!
نظری یافت نشد