close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
ঢাকা, বৃহস্পতিবার: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিরপেক্ষ সরকারের দাবিকে গণতন্ত্রের নামে আরেকটি এক-এগারো সরকার গঠনের ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি সাম্প্রতিক সময়ে ‘মাইনাস টু’ নিয়ে আলোচনা করলেও, এখন তারা ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করতে নিরপেক্ষ সরকারের নামে নতুন ষড়যন্ত্র করছে। এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে। ছাত্র-জনতা এমন ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই মেনে নেবে না। এমনকি এটি বিএনপির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।’
বিএনপির দাবি ও নাহিদের প্রতিক্রিয়া
মঙ্গলবার বিবিসি বাংলায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যদি অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলেই তারা নির্বাচন পরিচালনা করবে। তা না হলে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন।’
এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘ছাত্রদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থান ঠেকাতে ৫ আগস্ট থেকেই ক্যান্টনমেন্টে নতুন সরকার গঠনের পরিকল্পনা চলছে। আমরা বারবার ক্যান্টনমেন্টে যেতে অস্বীকার করেছি। পরে অধ্যাপক ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
নাহিদ আরও লেখেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম, ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করতে। কিন্তু বিএনপি এতে রাজি হয়নি। তাদের নিরপেক্ষ সরকারের প্রস্তাব মূলত ক্ষমতার লোভে আরেকটি এক-এগারো সরকারের পরিকল্পনা।’
জাতীয় স্বার্থে ছাত্রদের ভূমিকা
নাহিদ ইসলাম তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, ‘ছাত্ররা এই সরকারের এবং বাস্তবতার একমাত্র ফ্যাক্টর, যা এক-এগারোর সরকার থেকে বর্তমান সরকারকে আলাদা করে। বিএনপি এখন নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ষড়যন্ত্র করছে, যা ছাত্রদের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যাবে।’
বিএনপির পরিকল্পনার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি
নাহিদ ইসলাম তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘জাতীয় সরকার যদি অভ্যুত্থানের পর গঠিত হতো, তাহলে ছাত্রদের সরকারে আসার প্রয়োজন হতো না। কিন্তু বিএনপি এখন যেভাবে নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলছে, তা শুধু তাদের ক্ষমতা নিশ্চিত করার প্রয়াস। এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।’
জনগণের প্রত্যাশা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
নাহিদ ইসলাম জোর দিয়ে বলেন, ‘গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় জনগণের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হতে দেওয়া হবে না। ছাত্র-জনতা একযোগে কাজ করে এ ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।’
নাহিদ ইসলামের এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। বিএনপির পরবর্তী পদক্ষেপ এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে এর প্রভাব কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
No comments found