বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ঘোষণা: প্রথম ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান এবং ২০৩৪ সালে ১ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি গড়ার পরিকল্পনা!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপি নির্বাচিত হলে ১৮ মাসের মধ্যে এক কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির অঙ্গীকার করেছে। পাশাপাশি, ২০৩৪ সালের মধ্যে এক ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপির লক্ষ্য নিয়ে তারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নতুন দিগন্ত খুলতে চায়।..

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে, বিএনপি তাদের প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ফেসবুক পোস্টে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এক ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেয়া ওই পোস্টে বিএনপি ২০৩৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এক ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

বিএনপি এর আগে ঘোষণা করেছে যে, সরকার গঠন করার পর প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি নতুন চাকরি বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। দলটি ২০৩৪ সালের মধ্যে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এক ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জন করতে দলের নেতৃত্বাধীন সরকার প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিবে।

মির্জা ফখরুল ইসলামের পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিদেশী বিনিয়োগকে আরো আকর্ষণীয় করতে এবং কর ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে বিএনপি কাজ করতে চায়। তিনি বলেন, ‘জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা এবং মানুষের মনে করের ভয় দূর করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বিএনপি একাধিক রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে যাতে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। এতে বিডাকে কার্যকরী করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪×৭ সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসন ব্যবস্থা, স্থানীয় দক্ষ জনশক্তি তৈরি, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এছাড়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা দেয়ার মাধ্যমে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ এবং সুযোগ বৃদ্ধি করার কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, বিএনপির পরিকল্পনা দেশের মানুষের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি করবে, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করবে।

এছাড়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫ উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ঐক্যই জাতীয় উন্নয়নের সোপান’; তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘এফডিআই আকৃষ্ট করতে জিয়াউর রহমানের সরকার আইন প্রণয়ন করেছিল এবং খালেদা জিয়ার সরকার বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছিল।’

বিএনপি তাদের নির্বাচনী পরিকল্পনায় জনগণের চাকরি, আর্থিক সুরক্ষা এবং দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দলটি জনগণের জন্য কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বিদেশী বিনিয়োগের সুযোগ এবং কর ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমে অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন ঘটাতে চায়।

এখন দেখার বিষয়, বিএনপির এই মহৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দেশটির অর্থনৈতিক দৃশ্যপট কেমন পরিবর্তিত হতে পারে।

Nessun commento trovato


News Card Generator