close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বিএনপিই প্রথম দেশে ভা'র'ত'বি'রো'ধী আ'ন্দো'ল'ন শুরু করে: যুবদল সভাপতি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, ভারতবিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেছে বিএনপি, এনসিপি এখন মুখে বড় বড় কথা বললেও বাস্তবে তারা সাহস দেখাতে পারেনি। রাজধানীর শান্তিনগরে এক আলোচনায় তিনি ভ..

বাংলাদেশে ভারতবিরোধী আন্দোলনের প্রকৃত সূচনা বিএনপির হাত ধরেই হয়েছে বলে জোরালো দাবি করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। বুধবার রাজধানীর শান্তিনগরে নিজ কার্যালয়ে এক ঘরোয়া আলোচনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “আমরাই প্রথম বাংলাদেশে ভারতবিরোধী আন্দোলনের ব্যানার উড়িয়েছি। কিন্তু আজ যারা (এনসিপি) বড় বড় বুলি আওড়াচ্ছে, তারাই ভারতীয় আগ্রাসনের সময় নিরব থেকেছে। ভারতের আগরতলায় আমাদের উপদূতাবাসে হামলার সময়ও তারা লংমার্চ তো করেইনি, বরং চুপচাপ দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।”

মুন্না আরও বলেন, “যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল— আমরাই মাঠে নামি, আমরাই আখাউড়ার জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত লংমার্চ করেছি। এনসিপি তখন কোথায় ছিল? তারা কি জনগণের সাথে দাঁড়িয়েছিল, নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইক কামানোতে ব্যস্ত ছিল?”

তিস্তা চুক্তির বিষয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে যুবদল সভাপতি বলেন, “সম্প্রতি আমরা তিস্তার ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে একাধিক কর্মসূচি পালন করেছি। ১০ লক্ষাধিক সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দিয়েছেন। আমরা ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলছি, অবস্থান নিচ্ছি— অথচ আমাদেরই দালাল বলা হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, আমরা দালালি করছি, নাকি ওরা?”

তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমানও ভারতীয় ফারাক্কা ব্যারাজের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে লংমার্চ করিয়েছিলেন। সুতরাং ভারতবিরোধিতার ইতিহাসেও আমরাই অগ্রগামী। আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট— প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক চাই, কিন্তু আত্মমর্যাদার সাথে। কে কী বলল সেটা দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেই না।”

সম্প্রতি এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারীর একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিএনপির উদ্দেশ্যে করা মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন মোনায়েম মুন্না। তিনি বলেন, “নাসির পাটোয়ারী বলেছেন, ডিসেম্বরে যারা নির্বাচন চায় তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করছে। আমি তাকে বলেছি— কথাবার্তা সংযত হন। বিএনপি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার পক্ষেই কাজ করছে।”

তার মন্তব্য, “আমরা বেহুঁশ না, বরং সচেতনভাবে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার আন্দোলনে আছি। আপনি জনগণ, আমিও জনগণ— আমরা আমাদের ভোট চাই। এনসিপি বড় বড় কথা বললেও, বাস্তবে ওদের কোন ভূমিকা নেই।”

আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি এনসিপির গোপন বৈঠক নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বলেন, “৩১ মে তারা রাজধানীর এক রেস্টুরেন্টে গোপনে বৈঠক করেছে। সেখানে ছিল তাসনিম জারা, আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া সজিবসহ আরও অনেকে। তাহলে তো দেখা যাচ্ছে, তাদের মুখে এক কথা, কাজে আরেক!”

তিনি আরও যোগ করেন, “তাদের উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, বিএনপির সাথে তাদের সম্পর্ক নেই। তাহলে এই গোপন মিটিংয়ের মানে কী? এখানেই তো তাদের কথার বরখেলাপ ধরা পড়ে।”

সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে যুবদল সভাপতি বলেন, “আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবসময় রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রেখে কথা বলেন। তিনি দেশের সব দলকে সম্মান করেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। রাজনৈতিক আচরণ কাকে বলে তা শিখতে হলে এনসিপিকে বিএনপির কাছ থেকেই শিখতে হবে।”

যুবদল সভাপতির বক্তব্যে স্পষ্ট, বিএনপি এখনও নিজেদেরকে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার লড়াইয়ে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চায়। ভারতবিরোধী ইস্যু থেকে শুরু করে নির্বাচন, গণতন্ত্র, সবকিছুতেই তারা কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে দাবি করছে দলটি। বিপরীতে এনসিপির দিকে উঠেছে রাজনৈতিক ফাঁপা কথার অভিযোগ। সবমিলিয়ে রাজনীতির মাঠে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল যুবদল সভাপতির এই মন্তব্য।

No comments found


News Card Generator