বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গুলশানে বিএনপি কার্যালয়ে কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করলেন মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু। আলোচনায় উঠে এলো কূটনৈতিক সম্পর্ক, রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নানা দিক।..

রাজনৈতিক অঙ্গনে নীরব উত্তাপের মাঝেই আবারো আলোচনায় উঠে এসেছে বিএনপির কূটনৈতিক তৎপরতা। আজ রবিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। কূটনৈতিক এই সাক্ষাতে অংশ নেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও, যিনি দলীয় পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

বিএনপির মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচন ও সেই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিএনপির তরফে বৈঠকে যোগদানকারী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী পরবর্তীতে সাংবাদিকদের বলেন, "এই ধরনের কূটনৈতিক সংলাপ খুবই স্বাভাবিক এবং সময়োপযোগী। আমরা বরাবরের মতোই আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপে বিশ্বাসী।"

অন্যদিকে, কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের পক্ষ থেকে এ বৈঠক সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করা না হলেও, কূটনৈতিক মহলে এই সাক্ষাতকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি যেভাবে আন্তর্জাতিক মহলে তাদের রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে, তা একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এদিকে বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হলো, যখন সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে পশ্চিমা বিশ্বের নজর এখন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বেশ স্পষ্ট। কানাডা বরাবরই বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইস্যুতে সরব ভূমিকা রাখছে। এমতাবস্থায় বিএনপি নেতৃত্বের সঙ্গে হাইকমিশনারের এই সাক্ষাৎ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভবিষ্যতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গেও এ রকম সংলাপের পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এবং চলমান রাজনীতি—সবকিছুকে ঘিরেই বিএনপি যে একটি কৌশলী অবস্থান নিতে চাইছে, এই বৈঠক তারই ইঙ্গিত দেয়।

সামগ্রিকভাবে আজকের এই সৌজন্য সাক্ষাৎটি কেবল আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং এটি হয়ে উঠেছে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

نظری یافت نشد


News Card Generator