close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বিএনপি ঘরে বসে থাকলে দেড়শ বছরেও হাসিনার পতন হতো না : খায়ের ভূঁইয়া..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
আন্দোলনের সাফল্যকে একক দাবি না করে শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন খায়ের ভূঁইয়া। বললেন, বিএনপি ঘরে বসে থাকলে শেখ হাসিনার পতন কখনও হতো না। উঠে এল চক্রান্ত, ত্রিমুখী ষড়যন্ত্র এব..

বিএনপি ঘরে বসে থাকলে শেখ হাসিনার পতন ১৫০ বছরেও হতো না—এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন তুলেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া।

শনিবার (২৪ মে) বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলার রসুলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চররুহিতা ইউনিয়নের ওয়ার্ডভিত্তিক বিএনপি নেতাদের নির্বাচন পরিদর্শনে গিয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, “বিএনপি ঘরে বসে থাকলে আগামী দেড়শ বছরেও শেখ হাসিনার পতন ঘটানো সম্ভব হতো না। শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বৈরাচারকে বিদায় জানিয়েছি। এটা কারও একক কৃতিত্ব নয়, এটি দীর্ঘ সংগ্রামের ফল।”

তিনি জানান, মাত্র এক-দেড় মাসের আন্দোলনের মধ্যেই বিএনপির ৫০০-এর বেশি নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন, বহু মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং অনেকে আজ স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

“এই আন্দোলনে বিএনপি ঘরে বসে থাকেনি,” বলেন খায়ের ভূঁইয়া। “আমরা রাস্তায় ছিলাম, এখনো আছি এবং থাকব যতক্ষণ না গণতন্ত্র ফিরে আসে। শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

তিনি আরো বলেন, “নতুন করে দেশে একটি ত্রিমুখী চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসরেরা একটি সুগভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।”

খায়ের ভূঁইয়া দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে বলেন, “গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তাই দ্রুত একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়েছি একটি বিশেষ সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য। এটি যেন কোনোভাবেই দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতার অপচেষ্টায় রূপ না নেয়।”

তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না, তাদের ক্ষমতা সীমিত। দেশের মৌলিক সিদ্ধান্ত নিতে জনপ্রতিনিধিরাই যথাযথ। সুতরাং রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচন দিন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।”

তিনি আহ্বান জানান, “ডানে-বায়ে চিন্তার কোনো অবকাশ নেই। এখন সময় এসেছে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে, যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার।”

অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ বেপারী, সদর পশ্চিম বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল করিম ভূঁইয়া মিজান, যুগ্ম আহ্বায়ক রাব্বি এলাহী জহির, জামাল হোসেন এবং বিএনপি নেতা নুরুল আলম ভুলু উপস্থিত ছিলেন।

Inga kommentarer hittades