close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
বিদেশে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের নৌ-পুলিশ সদর দফতর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযান
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে, তাদের অনেককে আমরা ধরতে সক্ষম হয়েছি। তবে কিছু আসামি এখনো দেশের বাইরে অবস্থান করছে। তাদের গ্রেফতার করতে আমরা বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করছি।"
তিনি আরও বলেন, "আসল জন (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে নেই, ফলে তাকে সরাসরি দেশে ফিরিয়ে আনা কঠিন। তবে আমরা পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে করা চুক্তির আওতায় এসব পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।"
সড়ক অবরোধ নিয়ে সরকারের অবস্থান
বিভিন্ন ইস্যুতে সড়ক অবরোধের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "কারণে-অকারণে রাস্তাঘাট বন্ধ করা হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। মিডিয়ার উচিত এসব বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, যাতে জনগণ নিজেরাই এ ধরনের কর্মসূচির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়।"
তিনি আরও বলেন, "যদি কোনো দাবি-দাওয়া থাকে, তাহলে তা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা উচিত। কর্তৃপক্ষ যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে স্কুল বা কলেজ মাঠে আন্দোলন করা যেতে পারে। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে জনসাধারণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করা উচিত নয়।"
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মূল্যায়ন
সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "আমরা কতটা সফল, সেটা জনগণই ভালো বলতে পারবে। আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছি, তখনকার পরিস্থিতি এবং বর্তমান অবস্থার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।"
নৌ-পুলিশের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
নৌ-পুলিশ সদর দফতর পরিদর্শনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "নৌ-পুলিশের অভিযানের কার্যকারিতা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। জেলেদের কারেন্ট জাল ব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
তিনি আরও জানান, নৌ-পুলিশের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নৌযান ও জনবল বাড়ানোর প্রয়োজন। "যথাযথ জনবল ও সরঞ্জাম সরবরাহ করা গেলে তারা আরও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারবে," বলেন তিনি।
নৌ-পথে চাঁদাবাজি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ
নৌ-পথে চাঁদাবাজি বন্ধের বিষয়ে সরকার বেশ আন্তরিক বলে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। "আজকের সভায় আমরা নৌ-পথে চাঁদাবাজি কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিগগিরই দৃশ্যমান ফলাফল আনতে চাই," বলেন তিনি।
সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নেওয়া নানা পদক্ষেপের ফলে জনগণের আস্থা বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
Walang nakitang komento



















