close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ভেদাভেদ ভুলে বিএনপিকে জয়ী করতে কাজ করতে হবে

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চট্টগ্রামে ঈদ পুনর্মিলনীতে ডা. শাহাদাত হোসেন স্পষ্ট বার্তা দিলেন—ভেদাভেদ ভুলে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে বিএনপিকে নির্বাচনে জয়ী করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের বৈঠককে তিনি দেখছেন..

ভেদাভেদ ভুলে জয়ী করতে হবে বিএনপিকে—চট্টগ্রামে ডা. শাহাদাতের জাতীয় ঐক্যের আহ্বান

জাতীয় স্বার্থে দলীয় ভেদাভেদ ভুলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, "আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মোক্ষম সুযোগ। বিএনপিকে জয়ী করে একটি সুশাসনভিত্তিক সরকার প্রতিষ্ঠাই এখন সময়ের দাবি।"

শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের লাভ লেনের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঈদুল আজহার পর অনুষ্ঠিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এই আয়োজনটি ছিল মূলত চট্টগ্রামবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন এবং রাজনীতিতে ঐক্য ও সমঝোতার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার একটি প্ল্যাটফর্ম।

তিনি আরও বলেন, “আমরা গতকাল একটি বড় রাজনৈতিক বার্তা পেয়েছি। তারেক রহমান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে যেভাবে সদ্ভাবপূর্ণ বৈঠক হয়েছে, তা ভবিষ্যতের নির্বাচনকে ঘিরে দেশের জনগণকে আশাবাদী করে তুলেছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচনের নেতৃত্বে থাকবে বিএনপি।”

 

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য শুধু দল নয়—জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা ভিন্নমত ভুলে, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব পেছনে রেখে জাতীয় স্বার্থে কাজ করতে চাই। বিএনপিকে জয়ী করে সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে আমাদের অটল থাকতে হবে।”

তিনি বলেন, “এখন আর সময় নেই বিভেদে জড়ানোর। সময় এসেছে রাজনীতিকে শুদ্ধ পথে ফেরানোর। বিএনপির নেতৃত্বে আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখতে চাই—যেখানে ন্যায়বিচার, মানবিকতা এবং জনসম্পৃক্ত প্রশাসন থাকবে।”

 

ডা. শাহাদাত হোসেনের বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের বৈঠক প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “এই সংলাপ শুধু রাজনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং এটা ছিল গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একটা রূপরেখা। এতে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও বিকল্প শক্তির ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়েছে।”

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, চট্টগ্রামের বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরী, দলের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, আবুল হাশেম বক্কর, শামসুল আলম, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, আবু সুফিয়ান ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত, বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

 

ডা. শাহাদাতের এই বক্তব্যের মাধ্যমে চট্টগ্রামে নতুন করে একটি বার্তা পৌঁছে গেল—বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জাতীয় ঐক্যই এখন প্রধান হাতিয়ার। তিনি শুধু বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের নয়, বরং সব নাগরিককে এই ঐক্যের অংশ হতে আহ্বান জানিয়েছেন।

Inga kommentarer hittades