close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ভাসানচর হাতছাড়া! সাবেক এমপির ছক, ওবায়দুল কাদেরকে খুশি করতে সন্দ্বীপকে বিক্রি?”..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভাসানচর নিয়ে সন্দ্বীপ-নোয়াখালী সীমানা বিরোধ আবার সামনে এসেছে। বিস্ময়করভাবে সাবেক এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাকে খুশি করতে চরটি হাতিয়া জেলার অধীনে দিয়ে দেন বলে অভিযোগ। অথচ নত..

ভাসানচর নিয়ে ক্ষমতার রাজনীতি: সন্দ্বীপবাসীর জমি হাতিয়ার কোলে কেন?

✍️ প্রতিবেদনে: [আপনার চ্যানেল/নাম]

বছরের পর বছর ধরে বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে গড়ে উঠছে বিশাল এক নতুন চর অঞ্চল—ভাসানচর, জাহাইজ্যারচর, উরিরচরসহ আরও কয়েকটি চর। এগুলোর ভৌগোলিক ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে স্পষ্ট, চরগুলোর অবস্থান সন্দ্বীপের সীমানার মধ্যে। তবুও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে এই চরগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নোয়াখালী জেলার অন্তর্ভুক্ত হাতিয়া উপজেলার অধীনে।

বিষয়টি ফের আলোচনায় আসে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের পর। এই আন্দোলনের সূত্র ধরে সন্দ্বীপ-নোয়াখালীর পুরনো সীমানা বিরোধ ফের মাথাচাড়া দেয়।

📌 মিতার ডিও লেটার: ভাসানচর নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত

বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয়দের দাবি, ২০১৭ সালে ওবায়দুল কাদেরকে খুশি করতে তৎকালীন এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা চরগুলোর মালিকানা নোয়াখালীর পক্ষে সমর্থন দেন। এমনকি তিনি নিজেই নোয়াখালীর পক্ষে ‘ডিও লেটার’ পাঠান, যাতে নিজ এলাকার ভূমি হাতিয়া উপজেলার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এই ঘটনায় গোটা সন্দ্বীপে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হয়। যদিও সরকারের একরোখা সিদ্ধান্তে তা তখনকার মতো বাতিল করা যায়নি।

🌍 স্যাটেলাইট চিত্রে চমক: সন্দ্বীপের আয়তন ৭২১ বর্গকিমি ছাড়িয়ে গেছে!

স্পারসো (বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান) তাদের গবেষণায় জানায়, ভাসানচর, জাহাইজ্যারচরসহ পুরো চরাঞ্চল এখন সন্দ্বীপের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে।
ড. মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, “২০০০ সালের স্যাটেলাইট ছবিতে ভাসানচর ছিলই না। এখন এটি স্পষ্ট। পলি জমে দ্বীপটি বেড়ে চলেছে। এক বিশাল চরাঞ্চল সন্দ্বীপের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।”

📊 একাধিক জরিপ বলছে: ভাসানচর সন্দ্বীপেরই অংশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রতিনিয়ত দুই থেকে তিন বিলিয়ন টন পলি বঙ্গোপসাগরে জমে চর গঠন করছে। এসব চর স্বাভাবিকভাবে নদীভাঙা সন্দ্বীপের হারানো অংশকে পূর্ণ করে দিচ্ছে।

জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভাসানচরের ছয়টি মৌজা—ভাসানচর, শালিকচর, চর বাতায়ন, চর মোহনা, চর কাজলা ও কাউয়ারচর সন্দ্বীপ উপজেলার সীমানায় দৃশ্যমান হয়েছে। অথচ দিয়ারা জরিপে এসব মৌজাকে দেওয়া হয়েছিল হাতিয়া উপজেলায়।

🧭 দূরত্বেই প্রমাণ

  • ভাসানচর সন্দ্বীপের ন্যামস্তি ইউনিয়ন থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে

  • অথচ হাতিয়া উপজেলা থেকে এর দূরত্ব ২১ কিমি
    গুগল ম্যাপ ও সেটেলমেন্ট রিপোর্ট বলছে, ভাসানচর সন্দ্বীপেরই অংশ।

🧾 চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ১০ এপ্রিল

২ ফেব্রুয়ারি ভূমি সচিবের নেতৃত্বে এক বৈঠকে দুই জেলার সেটেলমেন্ট অফিসারদের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ২৫ মার্চ দ্বিতীয় বৈঠক শেষে ১০ এপ্রিল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানা গেছে।

সন্দ্বীপ ইউএনও রিগ্যান চাকমা বলেন, “এই রিপোর্টগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। ভাসানচর সন্দ্বীপের অংশ প্রমাণিত হলে সেটি সরকারি গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”

🚢 ফেরি সার্ভিসে বিনিয়োগ সম্ভাবনা

সন্দ্বীপ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সভাপতি নুরুল আক্তার বলেন, “ফেরি চালু হওয়ার পর সন্দ্বীপে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। একে ঘিরে গড়ে উঠতে পারে গভীর সমুদ্রবন্দর। সন্দ্বীপ হবে অর্থনীতির নতুন হাব।”

🛣️ রাস্তা হচ্ছে, সম্ভাবনা বাড়ছে

এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলীম বলেন, “রহমতপুর-গুপ্তছড়া সড়কসহ একাধিক প্রধান সড়ক দ্রুত সংস্কার হবে। যান চলাচল বেড়ে যাওয়ায় এ কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হবে

No comments found


News Card Generator