close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ভারতের সঙ্গে যু/দ্ধবি/রতি চলবে কতদিন জানালেন,পাকিস্তান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চলবে ১৮ মে পর্যন্ত : পাকিস্তান

পারমাণবিক উত্তেজনার মাঝেই বড় খবর! ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়লো ১৮ মে পর্যন্ত। মার্কিন মধ্যস্থতায় টান টান উত্তেজনার আবহে স্থগিত..

যুদ্ধের ছায়ায় শান্তির আলো: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়লো ১৮ মে পর্যন্ত

 মার্কিন কূটনৈতিক চেষ্টায় বন্ধ হলো গুলির শব্দ, আপাতত স্থগিত উত্তেজনা

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা টানটান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো দুই দেশ। পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছেন যে, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত এসেছে মার্কিন মধ্যস্থতায় একাধিক আলোচনার মাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) পাকিস্তান সিনেটে দেওয়া এক ভাষণে ইসহাক দার জানান, সর্বশেষ আলোচনার ফলেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় উভয় দেশ। তিনি বলেন, “১৪ মে হটলাইনে ডিজিএমওদের (Director General of Military Operations) মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।”

 কীভাবে শুরু হলো এই যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া?

গত ১০ মে পাকিস্তানের ডিজিএমও মেজর জেনারেল কাশিফ আবদুল্লাহ ও ভারতের লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই হটলাইনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আলোচনা করেন। এরপর ১২ মে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। পরে আবার ১২ মে নতুন করে আলোচনা হয় এবং তখন যুদ্ধবিরতি ১৪ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষে ১৪ মে একটি তৃতীয় দফার আলোচনায় দুই দেশের সামরিক প্রধানরা সম্মত হন যুদ্ধবিরতি ১৮ মে পর্যন্ত বাড়ানোর বিষয়ে।

এই ঘটনাগুলো এমন সময়ে ঘটলো যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয় ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থাকে ঘিরে। দুই দেশের সীমান্তে ট্যাংক, যুদ্ধবিমান এবং গোলাবর্ষণের প্রস্তুতি রীতিমতো দৃষ্টিগোচর ছিল।

 যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা: বড় ভূমিকা

ইসহাক দার তার বক্তব্যে জানান, এই পুরো প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “১০ মে সকাল সোয়া ১০টার দিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আমাকে ফোন করেন এবং জানান ভারত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত। আমাদের প্রথম পর্যায়ের সামরিক অভিযান তখন প্রায় শেষের পথে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমি মার্কিন কূটনীতিককে বলেছিলাম, নয়াদিল্লি যদি যুদ্ধবিরতিতে রাজি থাকে, তাহলে ইসলামাবাদও প্রস্তুত।” পরে তিনি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই নিশ্চিত করেন যে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া

বিশ্লেষকদের মতে, এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অর্জন। একদিকে যুদ্ধাবস্থা স্থগিত হলো, অন্যদিকে এটি আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনার দিকও উন্মোচন করলো। তবে বাস্তব পরিস্থিতি কতটা শান্তিপূর্ণ থাকবে, তা নির্ভর করবে পরবর্তী কয়েকদিনের সামরিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপের ওপর।

 যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও এটি স্থায়ী সমাধান নয় বলে উল্লেখ করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সাময়িক বিরতির চেয়ে এখন দরকার একটি দীর্ঘমেয়াদি শান্তিচুক্তি, যেখানে সীমান্তে সংঘর্ষের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা হবে।



দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হলে তার ভয়াবহতা কল্পনার বাইরে। এই যুদ্ধবিরতি শুধু ভারত-পাকিস্তানের জন্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের জন্যই একটি স্বস্তির খবর। এখন দেখার বিষয়, এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি ভবিষ্যতে কী স্থায়ী শান্তির দিকে নিয়ে যায়, নাকি আবারও ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে সীমান্তে আশার আলো।

没有找到评论