close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
ভারতের নির্বাচনে মার্কিন হস্তক্ষেপ? ২১ মিলিয়ন ডলারের বিতর্কে তোলপাড় রাজনীতি!
ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নিয়ে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক তথ্য অনুসারে, ভারতীয় ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে ওয়াশিংটন ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ১৮২ কোটি ভারতীয় টাকা) ব্যয় করেছে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি সরাসরি কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবারকে দোষারোপ করেছে।
মার্কিন প্রশাসনের তথ্য ফাঁস
রোববার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট ইফিশিয়েন্সির এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র তাদের বাজেট সংক্ষেপণের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি বিদেশি প্রকল্প বন্ধ করতে যাচ্ছে। ওই তালিকায় উঠে আসে ভারতের নামও, যেখানে জানানো হয়, ভারতীয়দের ভোটদানে উৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্র ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই বিজেপি ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানায়। দলের জাতীয় মুখপাত্র অমিত মালব্য বিস্ময় প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “ভোটদানে উৎসাহ দিতে ২১ মিলিয়ন ডলার? এর অর্থ ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল! এই অর্থে কারা সুবিধা পেয়েছে?” তিনি আরও দাবি করেন, “শাসক দল বিজেপি কোনোভাবেই এই অর্থের সুবিধাভোগী নয়, বরং এতে সরাসরি লাভবান হয়েছে কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবার।”
সোরসের ছায়া?
বিজেপির দাবি, কংগ্রেস এবং মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরসের মধ্যে সুস্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। অমিত মালব্যর কথায়, “ভারতের নির্বাচনে সোরসের কালো ছায়া পড়েছে”। ২০১২ সালে ভারতের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছিল দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেকটোরাল সিস্টেম (IFES), যা সোরসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত। আর এই ফাউন্ডেশনকে বিপুল অর্থায়ন করে মার্কিন সরকারের সংস্থা USAID।
এই তথ্য তুলে ধরে বিজেপি অভিযোগ করছে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার পরিকল্পিতভাবে বিদেশি শক্তিগুলোকে ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থায় প্রবেশের সুযোগ দিয়েছে। তাদের মতে, “এটি শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ।”
কংগ্রেসের পাল্টা জবাব
বিজেপির অভিযোগের বিপরীতে কংগ্রেসও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। দলটির মুখপাত্র বলেন, “বিজেপি যখন নিজের রাজনৈতিক অবস্থান টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে, তখনই তারা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, কংগ্রেস কখনোই বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করে রাজনীতি করেনি।”
বিদেশি প্রভাব ও ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা অত্যন্ত নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে তার দায়িত্ব পালন করে এবং কোনো বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ এখানে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে, এই ধরনের বিতর্ক ভোটারদের মনে সংশয় তৈরি করতে পারে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আরও তীব্র প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে পারে।
শেষ কথা
ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিদেশি অর্থায়ন নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়, তবে ২১ মিলিয়ন ডলারের বিষয়টি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিজেপি ও কংগ্রেসের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে বিষয়টি আরও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। এখন দেখার বিষয়, এই ইস্যু রাজনৈতিকভাবে কতদূর গড়ায় এবং আদৌ কোনো প্রভাব ফেলে কিনা আগামী নির্বাচনে।
Ingen kommentarer fundet



















