close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ভারতের বিমান বাহিনীর মতোই পরিণতি হবে স ন্ত্রাসী দের, হুঁ শিয়া রি পা কিস্তানের..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কাশ্মীর হামলা ঘিরে উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। এমন সময় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে ভারতের বিমানবাহিনীকে তুলোধোনা করলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি—পরিণতি হবে ভয়াবহ!..

ভারতের বিরুদ্ধে আবারও জোরালো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। তিনি বললেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, বিশেষ করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর পরিণতি হবে ভারতের বিমান বাহিনীর মতোই—যারা সম্প্রতি পাকিস্তানের জবাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয় ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। এরপর থেকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে ওঠে। প্রাথমিকভাবে উভয় পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ আনলেও, পরবর্তীতে দুই দেশের মধ্যে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি সামরিক অভিযান।

পাকিস্তানের দাবি, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামক অভিযানের জবাবে তারা সফলভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের বিমানবাহিনী ভারতের আধুনিক যুদ্ধবিমান রাফালসহ মোট ৫টি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করে বলে দাবি করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

শনিবার সিয়ালকোটে এক সাংবাদিক সম্মেলনে খাজা আসিফ বলেন, “১০ মে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সাহসিকতার সঙ্গে শত্রুকে জবাব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমাদের জাতীয় নেতৃত্ব ছিল আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, আর জনগণ ছিল সেনাবাহিনীর পাশে একতাবদ্ধ।”

তিনি আরো বলেন, “যারা পাকিস্তানে সন্ত্রাস ছড়াতে চায়, তাদের প্রতি কড়া বার্তা—তাদের অবস্থা হবে সেই যুদ্ধবিমানগুলোর মতো যেগুলো আমরা ভূপাতিত করেছি। এখন আর কোনো মায়া নেই। আমাদের লক্ষ্য শুধু একটাই—সন্ত্রাস নির্মূল। ভারত যদি আবার আগ্রাসনের চেষ্টা করে, আগের চেয়েও শক্ত জবাব দেবে পাকিস্তান।”

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সময় ভারতের ১০টি যুদ্ধবিমান তাদের নজরদারিতে ছিল। একাধিকবার আগ্রাসনের চেষ্টা রুখে দেয় পাকিস্তান। এই সফলতার পেছনে সেনাবাহিনীর চৌকস পরিকল্পনা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি কাজ করেছে বলেও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

এছাড়া তিনি ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, “ভারত তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে পাকিস্তানে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পেহেলগামের হামলার পেছনেও ভারতের গোপন হাত রয়েছে।”

জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠার কথাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, অতীতে পাকিস্তানের রাজনীতি ও সমাজে বিভাজন থাকলেও, এখন পুরো জাতি এক কণ্ঠে কথা বলছে। শত্রুর বিরুদ্ধে এ ঐক্য পাকিস্তানকে অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে প্রতিটি ফ্রন্টে আমরা সফল হয়েছি। আল্লাহর রহমতে আমরা জয়ী। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ভারত যেন মনে না করে, তারা বারবার পাকিস্তানকে ছোট করতে পারবে। আমরা প্রতিবারই তাদের জবাব দেব আরও কঠোরভাবে।”

প্রেক্ষাপট:
গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং সীমান্তে সামরিক অভিযান চালায়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও ভারতীয় ঘাঁটিতে হামলা চালায় বলে দাবি করে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই আসে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন হুঁশিয়ারি।


এই মুহূর্তে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধবিরতি চললেও পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি শান্ত নয়। প্রতিটি মুহূর্তে নতুন সংঘর্ষের আশঙ্কা বিরাজ করছে। আর তারই মাঝে খাজা মুহাম্মদ আসিফের হুঁশিয়ারি যেন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিল।

Nessun commento trovato