close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ভারতের ৩ সামরিক স্থাপনায় হাম লার দাবি নাকচ করেছে পাকিস্তান..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কাশ্মির, উধমপুর এবং পাঠানকোট—ভারতের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দাবি ঘিরে উত্তাল উপমহাদেশ। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ছায়ায় উত্তেজনা চরমে, তবে পাকিস্তান বলছে—‘আমরা দায়ী নই।’ ঘটনা কি আসলেই যুদ..

ভারতের তিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দাবি—পাকিস্তানের ঘোরতর অস্বীকার

৯ মে, বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, জম্মু ও কাশ্মিরের উধমপুর, পাঞ্জাবের পাঠানকোট এবং জম্মু শহরের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, পাকিস্তান থেকেই আসা এসব আক্রমণ তারা সফলভাবে প্রতিহত করেছে।
তবে পাকিস্তান পুরো ঘটনাকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে দাবি করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ এক বিবৃতিতে বলেন, “ভারত নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। আমরা এই হামলার দায় স্বীকার করছি না।”

ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোনে হামলার ছায়া—সতর্ক ভারতের সামরিক বাহিনী

ভারতের সামরিক বাহিনী এক্স (পূর্বের টুইটার) হ্যান্ডেলে জানায়, উধমপুর, পাঠানকোট এবং জম্মুর সেনা ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল।
তবে তারা এসব আক্রমণ দক্ষতার সাথে প্রতিহত করতে পেরেছে।
বলা হয়েছে, “কোনও প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র সময়মতো শনাক্ত করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।”

ব্ল্যাকআউট, সাইরেন ও আতঙ্ক—জম্মু শহরজুড়ে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি!

চণ্ডীগড় প্রশাসন জানায়, বিস্ফোরণের সতর্কতা হিসেবে শহরে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয় এবং ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হয়েছে।
জম্মুর রাজৌরি, কাঠুয়া এবং আশপাশের এলাকাগুলিতেও আলো নিভিয়ে সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হয়।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানান,

“আমি নিজে বিমানবন্দরের কাছে ছয়টি বস্তু মাটিতে পড়তে দেখি। তারপরই পুরো শহরজুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে, দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, মানুষ দৌড়াদৌড়ি শুরু করে।”

 বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপল কাঠুয়া—অজানা আতঙ্কে মানুষ

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জম্মুর আশপাশের প্রায় ৬০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
কাঠুয়া, রাজৌরি সহ বিভিন্ন এলাকা থেকেও একই ধরনের শব্দে কেঁপে উঠেছে জনপদ।
ব্ল্যাকআউট চলার সময় স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানায়, যদিও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।

ভারত-পাকিস্তান পাল্টা বক্তব্যে জটিলতা—প্রশ্ন উঠছে আন্তর্জাতিক মহলেও

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে উত্তেজনা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ভারত যদি সত্যিই এই আক্রমণের বিষয়ে আরও প্রমাণ দিতে পারে, তবে তা বড় ধরণের কূটনৈতিক সংকট ডেকে আনতে পারে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান বরাবরের মতো দায় অস্বীকার করলেও—এ ধরনের অভিযানের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছে না গোয়েন্দারা।


যুদ্ধের ধারে দাঁড়িয়ে উপমহাদেশ?

যদিও প্রাণহানি হয়নি, তবে এই হামলার খবর এক আতঙ্কজনক বার্তা দিয়েছে।
ভারত-পাকিস্তানের পুরনো বৈরিতার মধ্যে এই নতুন আক্রমণের ছায়া আরও বিপজ্জনক মোড় নিতে পারে।
সীমান্তে সতর্কতা জারি, সামরিক প্রস্তুতি জোরদার—সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি টানটান উত্তেজনার।

No comments found


News Card Generator