ভারতের দ্বারা নিরীহ নাগরিকদের ওপর চালানো সামরিক আগ্রাসনের জবাবে এবার কড়া প্রতিক্রিয়া দেখাল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, পাকিস্তান তিন বাহিনীর সমন্বয়ে ভারতের অভ্যন্তরে ২৬টি সামরিক ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল—নাগরিকদের ওপর হামলার জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা সীমিত ও নির্ভুল সামরিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি।"
এই অভিযানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে সাধারণ জনগণের কোনো ক্ষতি না হয়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর দাবি, লক্ষ্য নির্ধারণে অত্যন্ত নিখুঁত বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করা হয়েছে, এবং শুধু ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে।
‘পাঠ্যপুস্তকীয় সামরিক অভিযান’
এই অভিযানে অংশ নিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনী—একত্রে সমন্বিত অপারেশনের মাধ্যমে। আইএসপিআরের ভাষায়, “এটি ছিল একটি পাঠ্যপুস্তকীয় যৌথ সামরিক প্রদর্শনী।”
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের সশস্ত্র ড্রোনগুলো ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি সহ বড় বড় শহরের আকাশে নজরদারি চালিয়েছে। এই নজরদারির মাধ্যমে তারা ভারতের অভ্যন্তরে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির প্রকৃতি যাচাই করে, এবং এরপরই সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়।
কেন এই হামলা?
সম্প্রতি ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে পাকিস্তানের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর একাধিক হামলার অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে প্রথমে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানানো হলেও ভারতের কোনো ধরনের সংযম দেখা যায়নি। এরই প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সরাসরি পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ
এ ঘটনার পর দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে সামরিক উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত ভারতের প্রতিক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়া যায়নি।
পরিশেষে
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ ধরনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিক্রিয়া বিরল হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা স্পষ্ট বার্তা দিতে চায়—যে কোনো আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে কঠিনভাবে, তবে সাধারণ মানুষের জীবনের প্রতি দায়িত্বশীলতা বজায় রেখেই। এবার ভারতের জবাব কী হয়, সেটিই এখন আন্তর্জাতিক মহলের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু।