close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ভারত আ'গু'ন নিয়ে খেলছে: পরমাণু যু'দ্ধে'র হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পাক-ভারত উত্তেজনায় নতুন মাত্রা! ভারত ‘অযৌক্তিক সংঘাত’ তৈরির পথে হাঁটছে বলে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের। পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কায় কাঁপছে উপমহাদেশ!..

দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র — ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনাকেও আর অস্বীকার করা যাচ্ছে না। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ (ISPR)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন — "ভারত আগুন নিয়ে খেলছে!" তার দাবি, ভারত যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়, তাহলে পাকিস্তানও প্রস্তুত।

সামরিক সংঘাত হতে পারে ‘অযৌক্তিক এবং ধ্বংসাত্মক’

এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেনারেল আহমেদ শরিফ বলেন, ভারত যে ঔদ্ধত্য এবং আগ্রাসী ন্যারেটিভ চালাচ্ছে, তা খুব সহজেই বড় ধরনের সংঘাত ডেকে আনতে পারে। “পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে কারও চাপে মাথা নোয়ানোর নয়,” — বলেন তিনি।

তার মতে, পাকিস্তান ও ভারত দু’টোই পরমাণু শক্তিধর দেশ। এই প্রেক্ষাপটে সামরিক সংঘাত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ধ্বংসাত্মক হবে। “এটি একেবারেই বোকামি। কিন্তু ভারত এমন পরিস্থিতি তৈরি করছে যেখানে যেকোনো সময় স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠতে পারে,” মন্তব্য করেন তিনি।


প্রতিবারই ভারত মিথ্যা আখ্যান তৈরি করে

আহমেদ শরিফ চৌধুরীর দাবি, ভারতের পক্ষ থেকে বারবার পুরনো এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ ও ন্যারেটিভ তুলে ধরা হচ্ছে, যা শুধু উপমহাদেশে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। তার ভাষায়, “বিশ্ব জানে ভারতের অবস্থান কতটা অমূলক। কয়েক বছর পর পর একই ধরনের গল্প পুনরায় বলা হচ্ছে। এটা এক ধরনের কৌশল, যার মাধ্যমে পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টা চলছে।”

তিনি আরও বলেন, "ভারতের এই আচরণ শুধু পাকিস্তানের জন্য নয়, গোটা অঞ্চলের জন্য হুমকি। এটা এক প্রকার আগুন নিয়ে খেলা, যা নিয়ন্ত্রণ হারালে কেউই রক্ষা পাবে না।"


পাকিস্তানের ‘ম্যাচিওর’ ভূমিকার দাবি

এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেও পাকিস্তান নিজেদের ‘পরিপক্বতা’ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। সম্প্রতি ভারতের কাশ্মীরের পহেলগামে একটি হামলার পর, ছয় ও সাত তারিখ রাতে ভারত পাকিস্তানের কিছু এলাকায় বিমান হামলা চালায়, যেগুলোকে ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ বলা হয়। জবাবে পাকিস্তানও বিমান হামলা চালায়, এরপর দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়।

জেনারেল শরিফ বলেন, “যদি ভারতের অভিযোগ অনুযায়ী, কোনো পাকিস্তানি নাগরিক জড়িত থাকে, তাহলে তারা যেন স্পষ্ট প্রমাণ দেয়। আমরা নিজেরাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”


উপমহাদেশ কি পরমাণু যুদ্ধের মুখোমুখি?

পাক সেনা মুখপাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি কেউ দায়িত্বহীন আচরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। “পরমাণু যুদ্ধ কারও পক্ষেই লাভজনক নয়, কিন্তু ভারতের চরমপন্থী মনোভাব একে বাস্তবে পরিণত করতে পারে,” হুঁশিয়ারি জেনারেলের।


উপসংহার:

এই মুহূর্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা শুধুই সীমান্তে সীমাবদ্ধ নয়, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে উঠছে। পাকিস্তানের এই কঠিন হুঁশিয়ারি যেন একটি জ্বলন্ত বার্তা— শান্তির আশায় যুদ্ধের প্রস্তুতি ভুলে গেলে চলবে না। দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ এখন প্রশ্ন করছে— এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি কী ভবিষ্যতের ভয়াবহ কোনো ইতিহাস লিখতে চলেছে?

کوئی تبصرہ نہیں ملا