ভাইরালের অভিশাপ! দেড় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে না পেরে আত্মহত্যার হুমকি তরমুজ বিক্রেতার!
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের তরমুজ বিক্রেতা রনি। এক সময় তার দোকানে ছিলো ক্রেতাদের ভিড়, কিন্তু এখন সেই ভিড় বদলে গেছে কেবল ভিডিও করতে আসা মানুষের জমায়েতে। 'ওই কিরে', 'মধু রসমালাই'— এই কথাগুলো বলেই তিনি রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে এই ভাইরাল হওয়ার কারণে এখন চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি।
প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ তার দোকানে আসে, ভিডিও করে, অথচ কেউ তরমুজ কিনছে না! এই অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে, তার দেড় লাখ টাকার তরমুজ অবিক্রীত পড়ে আছে। আর এই ক্ষতির ধাক্কা সামলাতে না পেরে রনি হতাশায় আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন।
'আমারে বিরক্ত করলে আমি আত্মহত্যা করবো!'— তরমুজ বিক্রেতা রনি
এক ভিডিও বার্তায় রনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন,
"আমারে এরকম বিরক্ত করলে আমি গলায় ছুরি দিমু নয়তো ২৪ তলা থেকে পড়ে আত্মহত্যা করমু ভাই। আমার দেড় লাখ টাকার মাল পচে যাচ্ছে। আমি বিক্রি করতে পারতেছি না।"
তার এই আকুতি শোনার পর অনেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
‘লোকটার জন্য মায়াই লাগছে’— অভিনেতা শামীম হাসান সরকারের প্রতিক্রিয়া
অভিনেতা শামীম হাসান সরকার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, যেখানে তিনি বলেন,
"তরমুজ ব্যবসায়ীকে দিয়ে সবাই ফেসবুকে বা নিজের ব্র্যান্ডিং করে ডলার কামাইলো, অপরদিকে ওই তরমুজ ব্যবসায়ী নিজের তরমুজ বিক্রি করতে না পেরে কাঁদছে, তার দেড় লাখ টাকার তরমুজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।"
তিনি আরও লেখেন,
"ভাইরাল হওয়ার লোডই আলাদা! জুস আছে, সবাই তোমার পাশে আছে! জুস খাওয়া শেষ, বিদায় বাংলাদেশ! লোকটার জন্য মায়াই লাগতেসে। ঐ কিরে? ব্যবসা করতে দেন ওনারে!"
ভাইরাল মানেই সুখ নয়!
এই ঘটনা আমাদের একটি বড় শিক্ষা দেয়— সব ভাইরাল ঘটনা সুখকর হয় না! একজন সাধারণ তরমুজ বিক্রেতার জীবনে ভাইরাল হওয়া আশীর্বাদ নয়, বরং অভিশাপে পরিণত হয়েছে। এখন তার ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, আর তিনি মানসিক চাপে আত্মহত্যার কথা ভাবছেন!
সমাধান কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ মানুষ ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের এ বিষয়ে দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। শুধু ভিডিও বানানোর জন্য কারো জীবিকা নষ্ট করা উচিত নয়। রনির মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাহায্য করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি!