বাংলাদেশে কুরবানির ঈদ শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি বিশাল সামাজিক উৎসবও বটে। কুরবানির পশু কেনা, পরিচর্যা, মিছিল করে বাড়ি আনা সবই ঈদের অংশ। আর এর সঙ্গে জুড়ে গেছে চাটগাঁইয়া ঐতিহ্য ‘ভাই, হটিয়া লইয়ে?’ নামক অঘোষিত ঐতিহ্য। 
কুরবানির ঈদ এলেই গরু কেনা নিয়ে দেশের প্রতিটি মহল্লা, হাট ও উঠানে ঘুরেফিরে শোনা যায় একটি প্রশ্ন, “ভাই, হটিয়া লইয়ে?”। কথাটি যেন ঈদের প্রস্তুতির অংশ হয়ে গেছে। গরু দেখা মাত্রই প্রথম যেটা জিজ্ঞেস করা হয়, তা হলো গরুর ক্রয়মূল্য। 
সময়ের সাথে সাথে এই সাধারণ প্রশ্নটি এখন একটি সামাজিক ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। শুধু দাম জানার উদ্দেশ্যে নয়, বরং অনেকেই এটি ব্যবহার করেন এক ধরনের সামাজিক তুলনা, কৌতূহল, কিংবা কথোপকথনের সূচনা হিসেবে। 
সমাজের মুরুব্বিরা বলছেন, এই আচরণের পেছনে রয়েছে মানুষের স্বাভাবিক প্রতিযোগিতা ও নিজেকে মূল্যায়নের প্রবণতা। কার গরু বড়, কারটা দামি, কে কত কমে ভালো গরু কিনেছে এই সবই হয়ে দাঁড়ায় আলোচনার বিষয়। 
কক্সবাজারের স্থানীয় এক বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, ‘আঁই গরু কিনি আইবার সময় বত মাইনষরে গরুর দাম হইয়ি। যেই দেখে ফুচার লই, ভাই দাম হত? চিনা অচিনা বেগ্গুনেই ফুচার গরে। আরতো ও গম লাগে হইতে, বিরক্ত ন অই, বিরক্ত অইবার হতাও ন। দাম হওয়া আর দাম ফুনিবার মাঝে আলাদা ভালো লাগা হাম গরে। আর দাম ন হইলে মনে  হদে কিছু এক্কান লুকার।’ 
তবে অনেকেই মনে করেন, এটি কেবল কৌতূহলের বহিঃপ্রকাশ। ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার একটা মজার মাধ্যম। যদিও কিছু ক্ষেত্রে এই প্রশ্ন মানসিক চাপ বা অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা তৈরি করতে পারে। 
সময়ের পরিক্রমায় হয়তো এই প্রশ্ন থাকবে আরও প্রজন্ম ধরে, বদলে যাবে শুধু গরুর গড় দাম। কিন্তু প্রশ্নটা রয়ে যাবে একই, ‘ভাই, কত নিছে?’ 
এদিকে কক্সবাজারের ঐতিহ্যে মেজবানি উৎসব কুরবানির ঈদকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়। মেজবানি গরুর মাংস, ঈদের দিনে বিশেষত কিছু পরিবার মেজবানি ঝাল মাংস রান্না করে। এছাড়াও কালা ভুনা, ঈদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনের জন্য মাংসের হালিম বেশ জনপ্রিয়। 
  
    close
  
  
         
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
कोई टिप्पणी नहीं मिली
							 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			