close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ভা রত–পা কি স্তানের মধ্যে নি য়ন্ত্র ণরেখায় আবারও গো লা গু লি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কাশ্মীরের পেহেলগামে রক্তাক্ত হামলার পর ফের উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখায় চলছে পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি—চরম উত্তেজনায় কাঁপছে কাশ্মীর!..

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের প্রাণহানির পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। পরমাণু শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্কের ছায়া।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত রাত ১২টার দিকে নিয়ন্ত্রণরেখার একাধিক পয়েন্টে পাকিস্তানি সেনাচৌকি থেকে ‘উসকানিমূলকভাবে’ হালকা ও মাঝারি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীও পাল্টা জবাব দেয়।
ভারতীয় বাহিনী দাবি করেছে, এই আগ্রাসনের মাধ্যমে পাকিস্তান ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।

এর আগের রাতেও, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে, পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিবর্ষণের অভিযোগ তুলেছিল ভারত। যদিও তখন কোনো হতাহতের খবর ভারতীয় পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ সংঘর্ষে হতাহতের কোনো নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি আসেনি। তবে কূটনৈতিক মহলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, পরিস্থিতি আরও জটিল রূপ নিতে পারে।

কাশ্মীর পুলিশের দাবি অনুযায়ী, ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলায় অংশ নেয় তিনজন সন্দেহভাজন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য। তাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে।
এদিকে, পাকিস্তান সরকার এই হামলার সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামলার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, যাতে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করা যায়।

পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে দুই দেশের পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের ফলে। পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা ভারতের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে, ভারতও কড়া জবাব দিয়েছে—১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তদুটি ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কে গভীর সংকট তৈরি করতে পারে।

উল্লেখ্য, কাশ্মীর অঞ্চল নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। উভয় দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দাবি করে। এ নিয়েই এর আগে তিনটি বড় যুদ্ধ হয়েছে।
যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি ছিল কার্যকর, মাঝে মাঝে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেই আসছিল। তবে পেহেলগামের এই মর্মান্তিক হামলা এবং পরবর্তী সীমান্ত উত্তেজনা নতুন করে শঙ্কার ছায়া ফেলেছে গোটা দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে।

বর্তমানে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সর্বত্র সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনলে এই সীমান্ত সংঘর্ষ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে, যা আঞ্চলিক শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠবে।

Tidak ada komentar yang ditemukan


News Card Generator