শনিবার (১৮ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে তাকে আটক করা হয়। লিটন আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, “লিটন খন্দকার একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।”
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লিটনের বিরুদ্ধে পূর্বেও তিনটি মাদক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে দুটি বিচারাধীন এবং একটি মামলা সম্প্রতি অভিযোগপত্র গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন—একজন সক্রিয় রাজনৈতিক নেতা কীভাবে এতোদিন মাদক কারবার চালিয়ে যেতে পারলো? লিটনের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে কি স্থানীয় পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বিলম্ব হয়েছিল?
আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, “লিটনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার অভিযোগ ছিল। তবে রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস করেনি।”
ঘটনার পর স্থানীয় বিএনপি বা স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপজেলা বিএনপি নেতা বলেন, “যদি সত্যিই সে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলে থেকে কেউ এমন অপরাধ করলে তার দায় দল নেবে না।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে স্থানীয় পর্যায়ে যারা মাদকের সঙ্গে জড়িত হচ্ছেন, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরি। নয়তো রাজনীতির আড়ালে অপরাধীরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক হুমকি।
মো. লিটন খন্দকারের গ্রেপ্তার শুধু একজন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পুলিশের সাফল্য নয়, এটি স্থানীয় রাজনীতির গোপন অসুখের চিত্রও তুলে ধরেছে। রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করতে হলে অপরাধী যেই হোক, তাকে বিচারের মুখোমুখি করতেই হবে।



















