close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
লিবিয়ার অর্থনীতিতে বাংলাদেশি পেশাদার ও দক্ষ কর্মীদের উল্লেখযোগ্য অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে, বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুতালিব এসএম সুলেমান। একই সঙ্গে লিবিয়া বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্য আমদানি বাড়ানোরও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
গতকাল (২২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহের কথা জানান লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বৈঠকে উভয় পক্ষই আগামী বছর বাংলাদেশ-লিবিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সহযোগিতা আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করেন।
কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রসার ও ব্যবসায়িক সুযোগ
বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব কৃষি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি, জনগণের মধ্যে সংযোগ স্থাপন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে দুই দেশের চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি লিবিয়ার কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মওকুফের একটি চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্যও লিবিয়া পক্ষকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
অভিবাসন সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ
অনিয়মিত অভিবাসনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে লিবিয়া একটি ইলেকট্রনিক নিবন্ধন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত সুলেমান। এ উদ্যোগ অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও নিয়মতান্ত্রিক করতে সাহায্য করবে।
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, লিবিয়ার উন্নয়ন সহায়তায় আরও দক্ষ কর্মী ও পেশাদার প্রেরণ করা হবে।
উচ্চপর্যায়ের সহযোগিতার অঙ্গীকার
উভয়পক্ষই দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) দ্রুত স্বাক্ষরের ব্যাপারে সম্মত হন। পাশাপাশি উচ্চপর্যায়ের সফরের সুবিধার্থে নিয়মিত পরামর্শ চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান তারা।
বাংলাদেশ ও লিবিয়ার এই সমঝোতা ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
לא נמצאו הערות