close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলা করে আসা বাংলাদেশের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে ভারত। দেশটির আদানি পাওয়ার আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তাদের ভারতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে। এর ফলে বহু প্রতীক্ষিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
তবে, এই সুখবরের পাশাপাশি একটি বিষয় এখনও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনও ছাড় বা কর সুবিধা দিতে রাজি নয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৩১ অক্টোবর আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছিল। এর কারণ হিসেবে তারা বৈদেশিক মুদ্রার সংকট এবং বিল পরিশোধে দেরি হওয়ার কথা জানায়। এরপর ১ নভেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে, বাংলাদেশের অনুরোধে শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় তারা অর্ধেক সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছিল।
বর্তমানে বাংলাদেশে গ্রীষ্মকাল আসন্ন। এই সময় বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। তাই বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) আদানির কাছে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুরোধ জানায়। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে আদানি পাওয়ার আগামী সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে।
যদিও বিপিডিবি ছাড় ও কর সুবিধার অনুরোধ করেছিল, যা কোটি কোটি ডলারের সমতুল্য, তবে আদানি পাওয়ার তা মানতে রাজি হয়নি। রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার উভয় পক্ষের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে এবং আলোচনা এখনও চলছে।
বাংলাদেশের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, আদানি পাওয়ার এক ডলারও ছাড় দিতে রাজি নয়। তারা পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট অনুসরণ করছে।
বিপিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে কয়েক দিন আগেই তিনি রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, আদানির সঙ্গে এখন আর বড় কোনও সমস্যা নেই এবং পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শিগগিরই শুরু হবে। বর্তমানে আদানি পাওয়ারকে বিদ্যুৎ কেনা বাবদ প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি পরিশোধ করা হচ্ছে।
আদানি পাওয়ারের এক মুখপাত্রের কাছে রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।
এই খবরটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে এই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেকটা সাহায্য করবে। তবে, ছাড় ও কর সুবিধা নিয়ে আলোচনা এখনও শেষ হয়নি। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আরও কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।
कोई टिप्पणी नहीं मिली