close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

বাংলাদেশ রাজনৈতিক সংকটের গভীরে, গণতন্ত্র পুনর্গঠনে ঐক্যের ডাক: মির্জা ফখরুল

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি জটিল রাজনৈতিক সময় অতিক্রম করছে। এই সংকট কাটিয়ে একটি উন্নত, গণতান্ত্রিক কাঠা
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি জটিল রাজনৈতিক সময় অতিক্রম করছে। এই সংকট কাটিয়ে একটি উন্নত, গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে আমরা যেন স্বপ্নের মতো করে গড়তে পারি। কিন্তু কাঠামো যদি সঠিকভাবে তৈরি না হয়, তাহলে ওপর থেকে চাপিয়ে দিলে কোনো ফল আসবে না। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। তাহলেই গণতন্ত্র সফল হবে।” আজ শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষি ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন, জাতীয় সংলাপ ২০২৪’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, “স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আমাদের সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে হচ্ছে। ভালো হতো যদি আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারতাম। তবে এ নিয়ে কাজ করে একটি স্থিতিশীল জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, “২০১২ সাল থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এই সময়ে বহু নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম, ও কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বিএনপির প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। সাতশোর বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছেন, এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তবু আমরা থেমে থাকিনি। আজ যখন সবাই সোচ্চার হয়েছে, এটি দেখে ভালো লাগছে এবং আমরা আরও অনুপ্রাণিত হচ্ছি।” মির্জা ফখরুল এও বলেন, “বিএনপি শুরু থেকেই সংস্কারের পক্ষে। কিন্তু কিছু বক্তৃতা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে ‘বিএনপি সংস্কার চায় না।’ এটি পুরোপুরি সত্য নয়। আমরা দ্রুত সংস্কার করতে চাই, যেন একটি সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পথে এগোনো যায়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি হলো নির্বাচন।” তিনি জানান, বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অভাব। “ডেমোক্রেসি প্র্যাকটিস ছাড়া গড়ে ওঠে না। হুট করে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হওয়া তিনটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উদাহরণ দিয়েই এটা প্রমাণিত,” বলেন মির্জা ফখরুল। নিজের রাজনৈতিক পথচলার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি বলেন, “আমি কোনো তাত্ত্বিক নই। আমি মাঠপর্যায়ের রাজনীতি থেকে এসেছি। তৃণমূল থেকেই জনগণের জন্য কাজ করে এখানে পৌঁছেছি। জনগণকে বাদ দিয়ে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।” “আমরা যেন ১৯৭১-এর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকে কখনো ভুলে না যাই,” এই আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “৭১-এর চেতনা আমাদের ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক লড়াইকে শক্তিশালী করেছে। আমাদের চারপাশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের যে দুর্বলতা রয়েছে, তা মোকাবিলা করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি।” মির্জা ফখরুলের ভাষণে রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে ঐক্য, সংস্কার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
No comments found