বাংলাদেশ-মালাউই প্রতিরক্ষা বন্ধন আরও দৃঢ়! সেনাপ্রধানের সঙ্গে মালাউই কমান্ডারের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ

সেনাপ্রধানের সঙ্গে মালাউই ডিফেন্স ফোর্স কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাৎ: কৌশলগত সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে! বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মালাউই ডিফেন্স ফোর্স কমান্ডার জেনারেল পল ভেলেন্তিনো ফিরি। দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে এই সাক্ষাৎ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঢাকা সেনানিবাসে ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সেনানিবাসস্থ সেনাসদরে মালাউই ডিফেন্স ফোর্স কমান্ডার জেনারেল পল ভেলেন্তিনো ফিরি সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৈঠকে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। সৌজন্য সাক্ষাতের বিশেষ মুহূর্ত সাক্ষাতের শুরুতে দুই দেশের সামরিক প্রধানরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ও মালাউইর মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্ভাবনা, প্রশিক্ষণ বিনিময়, এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেনাবাহিনী প্রধান মালাউই কমান্ডারকে তার সফরের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গার্ড অব অনার ও বিশেষ আয়োজন মালাউই ডিফেন্স ফোর্স কমান্ডার সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। সম্মানসূচক এই আয়োজনে তিনি অংশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ঐতিহ্যবাহী প্রথা হিসেবে সেনানিবাসে একটি গাছের চারা রোপণ করেন। ৫ দিনের গুরুত্বপূর্ণ সফর উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, জেনারেল পল ভেলেন্তিনো ফিরি পাঁচ দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে আসেন। এই সফরকালে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট), কক্সবাজার এরিয়া এবং এফডিএমএন ক্যাম্পসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করবেন। বাংলাদেশ-মালাউই সম্পর্কের নতুন দিগন্ত এই সফরকে দুই দেশের প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। সামরিক প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মালাউইর প্রতিরক্ষা খাতে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠবে বলে আশা করা যায়।