close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সাইবার অপরাধের মাধ্যমে চুরি হওয়া অর্থের ৮০% উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানান, বাকি ২০% উদ্ধার করতে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং অর্থ ফেরাতে ব্যাপক পদক্ষেপ চলছে।
ড. মনসুর গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান। গভর্নর উল্লেখ করেন, গত পাঁচ মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের ফলে দেশের ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং দুর্নীতি কিছুটা কমে যাওয়ায় টাকা পাচার বন্ধ হয়ে গেছে। তার মতে, এর ফলে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে, এবং তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিদেশি সংস্থাগুলি, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই, সহায়তা করছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার পর সরকারের উদ্দেশ্য হল, পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা, এবং এজন্য বিদেশের আদালতে মামলা করার জন্য আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হবে।
এছাড়া, রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রসঙ্গে গভর্নর জানান, দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনার জন্য সরকার প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়। গত পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স ৩০০ কোটি ডলার বেড়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় অর্জন। সৌদি আরবকে টপকে দুবাইয়ের রেমিট্যান্স শীর্ষে উঠে আসার বিষয়টি গভর্নর আশঙ্কাজনক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, দুবাইয়ে কিছু প্রতিষ্ঠান মুদ্রার বিনিময় হার ম্যানিপুলেট (হস্তক্ষেপ) করার চেষ্টা করছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এদিকে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স—২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার এসেছে। ২০২৪ সালে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ ডলার, যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ২২.৬৮% বেশি।
বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সরকারের কাজ চলমান।
Walang nakitang komento