বান্দরবান প্রতিনিধি | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
বান্দরবানে শাশুড়ির গোপন ভিডিও সংগ্রহ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ ও ব্ল্যাকমেইলের কারণে ভুক্তভোগী নারী একপর্যায়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে বান্দরবান সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মান্না দে দ্রুত ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে সান্ত্বনা দেন এবং তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন। অভিযানের একপর্যায়ে অভিযুক্ত জামাতা ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে বান্দরবান সদর থানা পুলিশ।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদী হাসিনা বেগম (৫০) বান্দরবান জেলা বিএনপির মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদিকা। তিনি বান্দরবান সদর থানাধীন সুয়ালক ইউনিয়নের ০১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
অভিযোগ অনুযায়ী, প্রধান অভিযুক্ত মিসকাতুন নবী মিসকাত বান্দরবান সদর উপজেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাসের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বাদীর ছোট মেয়ের স্বামী।
এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ছয়টার দিকে বাদী নিজ বসতবাড়িতে অবস্থানকালে অভিযুক্তরা তার একটি গোপন ভিডিও প্রদর্শন করেন। এ সময় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তিন লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে ভিডিওটি রাজনৈতিক অঙ্গনসহ এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও ভয় দেখানো হয়।
বাদীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত জামাতা ওই ভিডিওকে পুঁজি করে তাকে নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। এতে তিনি চরম মানসিক বিপর্যয়ে পড়েন এবং একপর্যায়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জাসাস নেতা ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়, যেখানে অভিযোগে উল্লেখিত গোপন ভিডিওটি পাওয়া গেছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
মামলায় আরও একজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মান্না দে বলেন,
“ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মূল অভিযুক্ত ও তাঁর সহযোগী স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। বাদী এজাহার দায়ের করেছেন। আগামীকাল তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
বান্দরবানে শাশুড়ির গোপন ভিডিও নিয়ে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ মানসিক চাপে আত্মহত্যার চেষ্টা, জাসাস নেতা ও স্ত্রী গ্রেপ্তার..
Geen reacties gevonden



















