প্রথমার্ধেই পাঁচ গোল করে প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় বাংলাদেশ। খেলার নবম মিনিটেই গোলের খাতা খুলে দেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। একক প্রচেষ্টায় প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। এরপর একের পর এক আক্রমণে বিধ্বস্ত হয় বাহরাইনের রক্ষণভাগ। স্বপ্না রানীর দারুণ পাস থেকে ঋতুপর্ণা চাকমা গোল করলে ১৫ মিনিটেই স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
৪০ মিনিটে কর্নার থেকে নেওয়া সংক্ষিপ্ত পাসে মারিয়ার বল পেয়ে কোহাতি কিসুক জালে পাঠালে হয় তৃতীয় গোল। ইনজুরি টাইমের শুরুতেই নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তহুরা খাতুন। প্রথমার্ধ শেষ হবার মুহূর্তে শামসুন্নাহারের পাস থেকে আরেকটি গোল করে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন তিনি। বিরতির আগেই স্কোর দাঁড়ায় ৫-০।
দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের ছন্দ হারায়নি বাংলাদেশ। শুরুতেই সুযোগ নষ্ট করলেও আক্রমণের ধার ছিল অব্যাহত। ৬০ মিনিটে শামসুন্নাহার সিনিয়রের লম্বা পাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করেন বাহরাইনের রাওয়ান আলালি। গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ৬-এ। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে দারুণ গতিতে রক্ষণভাগ ভেদ করে একাই বল জালে পাঠান মুনকি আক্তার। শেষদিকে সাগরিকার একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে গেলেও জয় ছিল নিশ্চিত।
এই জয়ের মাধ্যমে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রথমবারের মতো জয় পেল বাংলাদেশের নারী দল। অতীতে এই প্রতিযোগিতায় কখনও জয় না পাওয়া দলটি ২০১৪ ও ২০২২ সালের দুটি বাছাইয়ে ৫ ম্যাচে মোট ২৫ গোল হজম করেছিল। সেই প্রেক্ষাপটে এবার বাহরাইনকে ৭-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের নতুন উচ্চতায় তুলে নিল তারা।
বাংলাদেশের জয়ে জোড়া গোল করেন তহুরা খাতুন। বাকি চার গোল আসে ঋতুপর্ণা চাকমা, কোহাতি কিসুক, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও মুনকি আক্তারের পা থেকে। আর একটি ছিল আত্মঘাতী।
এমন দুর্দান্ত জয়ের পর দলটির সামনে এখন শুধু আত্মবিশ্বাসের ডানা মেলে উড়ার সুযোগ। সামনের ম্যাচগুলোতে নিজেদের ছন্দ ধরে রাখতে পারলে হয়তো ইতিহাসই লিখবে পিটার বাটলারের দল।