close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

আসিফ মাহমুদের পক্ষপাতমূলক আচরণ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে: প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপি অভিযোগ করেছে, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার পক্ষপাতমূলক আচরণে ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণে অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা তৈরি হয়েছে। তারা বলছে, এই আচরণ সরকারের নিরপেক্ষতার বার্তা ক্ষুন্ন করছে। তারা সতর্ক করেছে, এম..

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণে অযথা বিলম্ব এবং নির্বাচন কমিশনকে অযৌক্তিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির দাবি, এসব কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, যার পক্ষপাতমূলক ভূমিকা সরকারের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

শনিবার (২৪ মে) রাতে যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এক সাক্ষাতে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেশ করে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে দলটি এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। তিনি স্বাক্ষরিত চিঠিতে সরকারের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে স্পষ্ট ভাষায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, “দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের পর বাংলাদেশের মানুষ একটি গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্র প্রত্যাশা করে। কিন্তু গত সাড়ে ৯ মাসে সেই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় জাতির মধ্যে হতাশা তৈরি হচ্ছে। সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।”

বিএনপি মনে করে, সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার কিছু পদক্ষেপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর এবং পক্ষপাতদুষ্ট। তারা অভিযোগ করেছে, আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশের পরও ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ করতে না দিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।

চিঠিতে আরো বলা হয়, "মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে সরকারের বক্তব্য ও পদক্ষেপে জাতীয় স্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে। এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকার গ্রহণ করতে পারে না বলে জনগণ মনে করে।"

বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণের দাবি:
বিএনপি স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, "যেসব উপদেষ্টার বক্তব্য ও আচরণ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে, তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ বা অব্যাহতি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইতিমধ্যেই বিতর্কিত হয়েছেন – তার অবস্থানে থাকা সরকারের নিরপেক্ষতা ও মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।"

নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের সমালোচনা:
চিঠিতে আরও বলা হয়, "যখন একটি দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়, তখন তা সরকারের এবং আমাদের উভয়ের জন্যই বিব্রতকর হয়ে দাঁড়ায়। নির্বাচনী সংস্কারের নামে কমিশন পুনর্গঠনের দাবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর।"

বিএনপি মনে করে, সরকারের উচিত ছিল এই মুহূর্তে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা, যার মাধ্যমে ডিসেম্বরের মধ্যেই একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দলটি বলছে, এই রোডম্যাপই এখন দেশের সর্বোচ্চ জনআকাঙ্ক্ষা।

সহযোগিতা কঠিন হয়ে যাবে:
চিঠির শেষাংশে বিএনপি স্পষ্ট করে জানায়, “যদি সরকারের পক্ষ থেকে জনচাহিদা উপেক্ষা করা হয়, তবে বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে না।”

সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া একসাথে চালানোর পক্ষে মত:
দলটি মনে করে, "সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এবং সেই সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারও সমানতালে চলতে হবে।"

শেষ বার্তা
সরকারের কর্মকাণ্ড যেন নিরপেক্ষতা ও জাতির আস্থার ভিত্তি ভেঙে না দেয় – এই আহ্বান জানিয়ে বিএনপি বলেছে, “জনগণের আস্থা ধরে রাখতে এখন প্রয়োজন দায়িত্বশীল, স্বচ্ছ এবং সকল রাজনৈতিক পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে রাষ্ট্র পরিচালনা।

No comments found


News Card Generator