close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
আসছে নতুন রাজনৈতিক শক্তি: তরুণ উপদেষ্টার নেতৃত্বে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ শিগগিরই!


ঢাকা | ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন এক শক্তির উত্থান ঘটতে যাচ্ছে! বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষার্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে একটি নতুন রাজনৈতিক দল।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের একজন তরুণ উপদেষ্টা পদত্যাগ করে নতুন এই দলের নেতৃত্বে আসতে পারেন। এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
নতুন দলের আদর্শ ও কাঠামো
দলের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে এটি আদর্শগতভাবে মধ্যপন্থী ধারা অনুসরণ করবে। ডান ও বামপন্থী রাজনীতির বাইরে থেকে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে এই দল। এছাড়া, গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া কিন্তু কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত নন—এমন ব্যক্তিদেরকেও তারা তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়।
কে হচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতা?
জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে থাকা তিন উপদেষ্টা—মাহফুজ আলম, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের মধ্যে একজন নতুন দলের নেতৃত্ব নিতে পারেন। বাকি দুজন আরও পরে সুবিধাজনক সময়ে পদত্যাগ করে দলে যোগ দিতে পারেন। এমনকি তাদের একজন আগামী জুন মাসে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিতে পারেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, "আমরা নতুন দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে দেব। এই দলটি কোনো চরমপন্থী আদর্শ গ্রহণ করবে না, বরং জাতীয় স্বার্থ ও স্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবে।"
নতুন রাজনৈতিক শক্তির পেছনে ইতিহাস
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই দেশে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি ওঠে। সেই আন্দোলনের মূল নেতৃত্ব দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরপর অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করতে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়, যা গত বছরের নভেম্বরে প্রথম কমিটি ঘোষণা করে।
বর্তমানে নাগরিক কমিটির সারাদেশে ২৫৭টি থানা ও উপজেলায় প্রতিনিধি কমিটি রয়েছে এবং এতে সদস্য সংখ্যা ৩৪ হাজারেরও বেশি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরও রয়েছে ৮,৫০০ সদস্য, যারা ইতোমধ্যে দেশের ৩০টি জেলা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন করেছে।
নতুন দল কি পরিবর্তন আনতে পারবে?
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরেও জাতীয় নাগরিক কমিটি সিভিল পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের ছাত্রসংগঠন হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। তবে, নতুন দলের আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে কীভাবে বদলে দেবে, সেটি এখন সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন।
নতুন রাজনৈতিক শক্তির অভিষেক রাজনৈতিক ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তারা বলছেন, এই দল আদর্শগতভাবে স্বতন্ত্র থাকলেও জাতীয় রাজনীতিতে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে।
শুরু হতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়!
নতুন এই রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের জন্য রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোচনা চলছে। তরুণদের নেতৃত্বে আসন্ন এই দল কি পারবে দেশের রাজনৈতিক চিত্র বদলাতে? সেটিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
📌 আপনার মতামত দিন: নতুন দল নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী? কমেন্টে জানান!
Aucun commentaire trouvé