close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত বাতিল চায় এনসিপি

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—ফ্যাসিস্ট আখ্যা দেওয়া আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকার অধিকার নেই। তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, দ..

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাম্প্রতিক বিবৃতি। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম রবিবার (সকাল ১০টা) এনসিপির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন অবিলম্বে বাতিলের আহ্বান জানান।

নাহিদ ইসলামের ভাষ্য অনুযায়ী, জনগণের মধ্যে যে বিদ্রোহী স্পৃহা ও রাজনৈতিক জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, তা একটি ঐতিহাসিক মোড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি বলেন,
"বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন। সরকারকেও সাধুবাদ জানাই। তবে এখানেই থেমে গেলে চলবে না। জুলাই ঘোষণাপত্র ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের সংগ্রাম চলমান থাকবে।"

নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন,
"সারা দেশের ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।" তিনি এই দাবির পেছনে রাজনৈতিক ও নৈতিক যুক্তি তুলে ধরে বলেন,
"নির্বাচন কমিশনকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিল করতে হবে।"

এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, এনসিপি শুধু একটি বিবৃতি দিয়েই থেমে থাকছে না—তারা রাজনৈতিক ময়দানে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধকে সংগঠিত ও বেগবান করতে চাচ্ছে। এই দাবির মাধ্যমে দেশে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক বিতর্কের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে।

নাহিদ ইসলামের বক্তব্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তিনি শুধু আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ করেননি, বরং পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাকেই একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের ধারাকে বেগবান করার অঙ্গীকার করেছেন, যাতে বর্তমান রাজনৈতিক কাঠামো বদলে যায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এনসিপির এমন অবস্থান আগামী নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক সমীকরণে একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। কারণ, সরাসরি ক্ষমতাসীন দলের নিবন্ধন বাতিলের দাবি একটি সাংবিধানিক ও নৈতিক প্রশ্ন তৈরি করে, যার জবাব চট করে দেওয়া সম্ভব নয়।

নাহিদ ইসলামের এই দাবিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে—আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল হওয়ার মতো কি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে? নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কী হবে?

তবে একটি বিষয় স্পষ্ট, এনসিপি এখন শুধু একটি দল নয়—তারা নিজেদের জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে প্রমাণ করতে মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সরাসরি নিবন্ধন বাতিলের দাবি নিঃসন্দেহে সাহসী এবং তা বাংলাদেশের রাজনীতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

Walang nakitang komento