close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিবর্তনের ইঙ্গিত

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আত্মগোপনে আছেন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছেন। শেখ হাসিনার এভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে রেখে দেশত্যাগ দলটির কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত ভালোভাবে নেয়নি। এর মধ্যে ১৫ আগস্টসহ একাধিকবার পাল্টা বিপ্লবে ব্যর্থ হওয়ার পর দলটির সব স্তরে এখন নতুন নেতৃত্ব নিয়ে জোরালো আলোচনা চলছে। শেখ হাসিনার একগুঁয়েমি ও জেদি মনোভাবের কারণে আওয়ামী লীগ চরম সংকটে পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দলটির নেতাকর্মীরা হতাশায় ভুগছেন। অনেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চাইলেও পরিস্থিতি তাদের অনুকূলে না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। উদারপন্থী নেতারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে হলে নেতৃত্বের পরিবর্তনের বিকল্প নেই। যদিও শেখ হাসিনা এখনই দলীয় প্রধানের পদ ছাড়তে প্রস্তুত নন বলে শেখ পরিবারের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় মন্তব্য করেন, তার মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। পরে তিনি তার বক্তব্য পরিবর্তন করেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অতীতের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া অসন্তোষের কারণে তার পক্ষে রাজনীতিতে ফিরে আসা সম্ভব হবে না। শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, "শেখ হাসিনাকে দিয়ে আর রাজনীতি হবে না। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ও একেক সময় একেক কথা বলেন। এভাবে রাজনীতি করা যায় না।" অন্যদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আওয়ামী লীগে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। দলটির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের ঘটনার পর দল পুনর্গঠনের বিষয় নিয়ে শীর্ষ নেতারা অনলাইনে পর্যালোচনা করছেন। তাদের পরিকল্পনা রয়েছে নতুন ও পুরনো নেতাদের নিয়ে দল পুনর্গঠন করার। শেখ হাসিনা যদি সম্মত হন, তবে তার মেয়ে পুতুলকে দিয়ে দল পুনর্গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে। সাধারণ সম্পাদকের পদে কাজী জাফর উল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নাম আলোচনায় রয়েছে। তবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি রাজনীতিতে ফিরতে চান না। বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেন, "আওয়ামী লীগ এখন মৃতপ্রায়। বর্তমান গণরোষের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২০ বছরের মধ্যেও দলটি এই ধকল কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে মনে হয় না। শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে দিয়ে আর রাজনীতি হবে না। তাদের জায়গায় ভারপ্রাপ্তদের দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন।"
Ingen kommentarer fundet