জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ গত শনিবার (১৫ মার্চ) তার ফেসবুক আইডিতে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের "চ্যাপ্টার ক্লোউজ" বা তাদের রাজনৈতিক জীবনের একটি নতুন অধ্যায়ের সমাপ্তি আসন্ন, এবং এটি দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
তিনি তাঁর পোস্টে আরও বলেন, যে পথ দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল, ঠিক সে পথ দিয়েই তাদের ফেরানোর ষড়যন্ত্র চলছে। তার এই মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এটি সেই সময়ের ঘটনা যখন গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। তিনি ভারতে আশ্রয় নেন এবং তার পদত্যাগের পর ৮ আগস্ট, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।
হাসনাত আব্দুল্লাহর এই মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, এবং তার দাবি করছে যে কিছু রাজনৈতিক শক্তি, আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ঘটানোর জন্য তৎপর রয়েছে।
অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা:
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে দেশে চলমান পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, এবং এটি নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনকেও প্রভাবিত করে। তিনি সরকারের শূন্যস্থানে ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তবে এখন তার নেতৃত্বের প্রতি জনগণের মনোভাবও নানা বিতর্কের সৃষ্টি করছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্যে যে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত রয়েছে, তা আসলে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে এক ধরনের সুস্পষ্ট প্রতিবাদ। তার মতে, কিছু শক্তি আবার আওয়ামী লীগের পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। তবে, এই রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তা কি সঠিক দিশা দেখাবে, তা সময়ই বলে দেবে।



















