close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতে সম্মতি ই রা নি পার্লামেন্টের..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানি পার্লামেন্ট আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) সঙ্গে সব কারিগরি সহযোগিতা স্থগিতের প্রস্তাব পাস করলো, যা পারমাণবিক কর্মসূচির স্বচ্ছতা ও বৈশ্বিক কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।..

ইরানি পার্লামেন্ট বুধবার একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা স্থগিত করার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এই প্রস্তাব পক্ষে বিপুল সংখ্যক সংসদ সদস্য ভোট দিয়েছেন এবং কোনো বিরোধী সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। এই পদক্ষেপ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ঘিরে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক সংসদীয় কমিশন ইতোমধ্যে একটি খসড়া পরিকল্পনা অনুমোদন করেছিল, যেখানে সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আইএইএ’র সঙ্গে সকল কারিগরি সহযোগিতা, পরিদর্শন ও তথ্য আদান-প্রদান বন্ধ রাখার। কমিশন জানিয়েছে, আইএইএ’র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সামরিক হামলার অজুহাত তৈরির জন্য সংস্থাটি নীরব রয়েছে।

এই নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হয়, তাহলে ‘পরিদর্শন কার্যক্রম, নজরদারি ক্যামেরা স্থাপন এবং সংস্থায় রিপোর্ট প্রদান’ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকবে। সংসদের আলোচনার সময় স্পিকার মোহাম্মদ বাকের কালিবাফ স্পষ্টভাবে বলেন, “ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না, কিন্তু আইএইএ তার নিরপেক্ষতা হারিয়ে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।”

আইএইএ’র সর্বশেষ প্রতিবেদনে ইরানকে ‘সহযোগিতাহীন’ দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংস্থাটি ইরানকে তার অঘোষিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে এবং উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।

বর্তমানে ইরানি পার্লামেন্টের এই সিদ্ধান্ত গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পর এটি আইনে রূপান্তরিত হবে এবং আইএইএ’র সঙ্গে ইরানের দীর্ঘদিনের সীমিত সহযোগিতাও বন্ধ হয়ে যাবে।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়াবে। শুধু আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, বরং এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক কূটনৈতিক আলোচনাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, এর ফলে পারমাণবিক কর্মসূচির স্বচ্ছতা হ্রাস পাবে এবং পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

এই পরিস্থিতিতে ইরানের সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী শক্তি স্থিতিশীলতা ও শান্তির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বর্তমানে ইরানের এই পদক্ষেপের সম্ভাব্য প্রভাব ও পরবর্তী কূটনৈতিক উদ্যোগগুলোর দিকে চোখ রাখছে।

Ingen kommentarer fundet


News Card Generator