close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজধানীর শিশু একাডেমির পার্শ্ববর্তী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান ফটকের সামনে ভোরবেলায় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের সঙ্গে এখনও কেউ ধরা না পড়ায় রহস্যই রয়ে গেল। এ ঘটনার পেছন..

রাজধানীর শাহবাগে সন্ত্রাসের ছায়া: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকা ককটেল হামলার শিকার

আজ ১৬ জুন সকাল ভোরে রাজধানীর শিশু একাডেমি সংলগ্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফটকের সামনে এক বিস্ফোরণ ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফটকের পাকা রাস্তার ওপর একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে এবং পাশেই একটি অবিস্ফোরিত ককটেলও পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত শুরু করেছে।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মনসুর এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ভোরবেলায় আমাদের কাছে খবর আসে যে ট্রাইব্যুনালের সামনে রাস্তার ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দুটি ককটেল উদ্ধার করেছি; একটি বিস্ফোরিত এবং অপরটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এর সাথে জড়িত কাউকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তদন্ত চলমান রয়েছে।”

এই বিস্ফোরণ ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ একই দিনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি সংবেদনশীল মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি রয়েছেন। এই মামলার মূল বিষয় July 1975 সালের গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ।

শুনানি চলাকালীন এই বিস্ফোরণের ঘটনা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ইঙ্গিত বহন করছে বলে সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করছেন। তবে কোন পক্ষ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা এখনো পরিষ্কার নয়।

উল্লেখ্য, গত ১ জুনেও একই স্থানে ককটেলসদৃশ পটকা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। তখনও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছিল। আজকের ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সংযোগ আছে কি না, তা তদন্তের মাধ্যমে স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিস্ফোরণকাণ্ডে পার্শ্ববর্তী এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত ঘটনার পিছনে দায়ীদের খুঁজে বের করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ফটকের আশেপাশের এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন কাউকে আটক করার চেষ্টা চলছে।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেন, “এ ধরনের হামলা দেশের আইনি প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতাকে লক্ষ্য করে, যা কঠোরভাবে দমনীয়। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সচেতন থাকতে হবে।”

এর পাশাপাশি রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, “এ ধরনের সহিংসতা রাজনৈতিক উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের প্রতি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি আরও জোরদার হবে।”

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হল বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যেখানে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলি নিষ্পত্তি করা হয়। এর নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বজায় রাখা হয়, কারণ এখানে বিচারাধীন মামলা গুলো দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতায় গভীর প্রভাব ফেলে।

আজকের এই বিস্ফোরণের ঘটনায় পুরো দেশ স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চালাচ্ছে এবং এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আসন্ন দিনগুলোতে এই ঘটনায় নতুন কোনো তথ্য প্রকাশ পেলে তা অনুসরণ করা হবে।

Nenhum comentário encontrado


News Card Generator