আয়নাঘর থেকে উদ্ধার হওয়া রহস্যময় ইলেকট্রিক চেয়ারে বসানোর অভিজ্ঞতা জানালেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক রফিকুল ইসলাম মাদানি। তিনি দাবি করেছেন, তিনিও সেই চেয়ারের নির্মমতার শিকার হয়েছেন।
যেভাবে ঘটেছিল ভয়ংকর অভিজ্ঞতা
বুধবার রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করে রফিকুল ইসলাম মাদানি বলেন, “এই ইলেকট্রিক চেয়ারে আমাকেও বসানো হয়েছিল। কসম করে বললেও কাফফারা দিতে হবে না, কারণ এই চেয়ারের কারণে কাশিমপুর-২-এ জাহাঙ্গীর ভাই নামের একজনকে দেখেছি, তিনি স্মৃতিশক্তি হারিয়ে পাগল হয়ে গেছেন।’’
তিনি আরও জানান, “খোকন ভাই নামের একজন আমার পাশের রুমে থাকতেন। তিনিও পাগল হয়ে গিয়েছিলেন এবং অল্প বয়সেই মারা গেছেন!’’
কারাগারের বিভীষিকা
রফিকুল ইসলাম মাদানি আরও বলেন, “মাত্র ২ ফিট বাই ৪ ফিট জায়গার মধ্যেই থাকতে হতো। সেখানেই ছিল টয়লেট! নড়াচড়া করারও সুযোগ ছিল না। এমনকি নামাজ পড়তে গেলে হাতের দুই পাশ দেয়ালে লেগে যেত!”
এই বক্তব্যের পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই আয়নাঘরের সেই চেয়ারের সত্যতা ও এর নির্মমতার বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তবে এখনো এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নতুন আপডেট পেতে চোখ রাখুন!
No se encontraron comentarios