close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

আমরাই তো ড. ইউনূসকে দায়িত্ব দিয়েছি, তিনি তো জোর করে নেননি : জামায়াতে আমির..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমির ড. শফিকুর রহমান একবার ফের বলেছেন, বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে সবাই নিজ ইচ্ছায় দায়িত্ব দিয়েছেন, তিনি জোর করে নেননি। নির্বাচনের সময় নির্ধারণে সরকারের সহযোগিতা ও আস্থ..

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা এসেছে। ২৪ মে, শনিবার, দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে দলের আমির ড. শফিকুর রহমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সহযোগিতার কথা জানিয়ে বলেন, “আমরাই তো ড. ইউনূসকে দায়িত্ব দিয়েছি, তিনি জোর করে নেননি।”

ড. শফিকুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ৯ মাস সময় পার হয়ে গেছে। প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী এই বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সরকার ঘোষণা দিয়েছে। এই বিষয়ে জামায়াত নেতার বক্তব্য, “আমরা বারবার বলেছি, প্রধান উপদেষ্টার কথায় আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই। সেই আস্থাকে সামনে রেখে আমরা আমাদের অবস্থান রেখেছি এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয় নমনীয়তা প্রদর্শন করেছি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বাধ্য করতে চাই না। কেন বাধ্য করবো? কারণ তিনি সকল রাজনৈতিক দলের ও জনগণের সমর্থিত। তিনি এখন সরকারের অভিভাবক, প্রতিপক্ষ নয়। সকল রাজনৈতিক দল ও অংশীজন স্বেচ্ছায় তার প্রতি আস্থা ও দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাদের কাজ হলো তার সার্বিক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করা।”

জামায়াতের আমিরের মতে, দলটির পক্ষ থেকে সরকারের কাজের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটানো হয়নি। বরং যেখানে সম্ভব সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা জানি, এই সময় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের আস্থা অর্জন জরুরি। তাই আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি এবং সবাইকে শিগগিরই নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে স্থায়ী সরকার গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।”

ড. শফিকুর রহমানের এই বক্তব্য বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে ধরা হচ্ছে। বিশেষ করে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ, নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তার মধ্যে এই আস্থা ও সহযোগিতার ভাষণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব বহন করে।

বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে যে, নির্বাচনের সময়সীমা ও প্রক্রিয়ায় বাধা-অসুবিধা দূর করার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। এই প্রসঙ্গে জামায়াত আমিরের বক্তব্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের সমন্বয় ও বোঝাপড়া বৃদ্ধির ইঙ্গিত বহন করছে।

সমাজের বিভিন্ন স্তরে বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও, জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এই সমর্থন বার্তা সরকারের নির্ধারিত সময়সীমায় নির্বাচন সফল করার ইঙ্গিত বহন করছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য সকল দলের ঐক্যবদ্ধ কাজের প্রয়োজনীয়তাও বারবার উঠে আসছে।

Nessun commento trovato


News Card Generator