close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

আমরা প্রস্তুত পরীক্ষা নিও না— হুঁ'শি য়ারি পা'কি'স্তান সেনা বা'হি'নীর..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কাশ্মিরে হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা তুঙ্গে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হুঁশিয়ার করে বললেন, "আমরা যুদ্ধ চাই না, তবে আঘাত এলে জবাব হবে ভয়াবহ—পরমাণু অস্ত্র প্রস্তুত!..

আমরা প্রস্তুত, পরীক্ষা নিও না’— ভারতের প্রতি পরমাণু বার্তা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর

কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার রেশ না কাটতেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরিতা নতুন করে উসকে দিয়েছে এই হামলা, আর সেই সঙ্গে বাড়িয়েছে যুদ্ধের আশঙ্কা।

এই সংকটময় মুহূর্তে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতকে কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ‘আমরা শান্তি চাই, তবে আগ্রাসন হলে জবাব হবে ভয়াবহ’—এমন বার্তা দিয়ে পরমাণু শক্তিধর এই দেশটি জানিয়ে দিয়েছে, তারা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত এবং তাদের ধৈর্যের পরীক্ষা না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের সতর্কবার্তা

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, বুধবার (৩০ এপ্রিল) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ও আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন,আ

 

মরা একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র এবং আগ্রাসনকে সমর্থন করি না। আমরা সংলাপ ও শান্তির পক্ষে। তবে যদি কেউ মনে করে আগ্রাসনই সমাধান—তবে আমাদের পক্ষ থেকে জবাব পরিষ্কার: আমরা প্রস্তুত, আমাদের পরীক্ষা নিও না।”

তিনি আরও বলেন, “সশস্ত্র বাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীসহ সব প্রতিরক্ষা ইউনিট সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি ভূমি রক্ষায় আমরা সর্বাত্মকভাবে নিয়োজিত।”

পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের পরোক্ষ ইঙ্গিত

ভারতের আগ্রাসনের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জেনারেল চৌধুরী উল্লেখ করেন, “যদি তারা সংঘাতের পথ বেছে নেয়, তবে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত হবে—কিন্তু সেই সংঘাত কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে, তা নির্ধারণ করব আমরা।”

এই বক্তব্যে পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনার কথাই ফুটে ওঠে, যা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জাতীয় ঐক্যের বার্তা

ডিজি আইএসপিআর বলেন, “সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে পুরো পাকিস্তানি জাতি ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে এবং দেশের সব রাজনৈতিক দল এই বিষয়ে একমত—যেকোনও হুমকির উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান যে শুধু প্রতিরক্ষা বাহিনী নিয়ে প্রস্তুত তা নয়—পুরো জাতি মানসিকভাবেও যেকোনও আগ্রাসনের প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে।”


শান্তির ডাক না যুদ্ধের দামামা?

উপমহাদেশে শান্তির পরিবর্তে যদি সংঘাত বেছে নেওয়া হয়, তাহলে সেটি কেবল দুই দেশের জন্য নয়—পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এই হুঁশিয়ারি শুধু সামরিক প্রতিক্রিয়ার বার্তা নয়, বরং পরমাণু সংঘাতের সম্ভাবনাকেও সামনে এনে দিয়েছে।

এই মুহূর্তে দরকার কূটনৈতিক সংলাপ, অহংকার নয়। নয়তো একটা ভুল সিদ্ধান্ত গোটা অঞ্চলকেই নিয়ে যেতে পারে অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে।

Ingen kommentarer fundet


News Card Generator