আমরা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাই না: নুর

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়ে বড় বার্তা দিলেন গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। বললেন, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নয়, বরং বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ ও উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠনই এ..

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচনপন্থী রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে আবারও সরব হলেন গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত “গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে চলমান বিতর্ক এবং উপদেষ্টা পরিষদের গঠন নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দেন তিনি।

নুরুল হক নুর বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগ চাই না। তবে উপদেষ্টা পরিষদে যারা বিতর্কিত, জনআস্থাহীন, কিংবা স্বার্থান্বেষী চরিত্রে পরিচিত — তাদের অবশ্যই অপসারণ করতে হবে। আজকের বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শক্তিশালী, নিরপেক্ষ ও জনসমর্থনপুষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন অত্যাবশ্যক।”

ঐক্যে ফাটল, ছাত্রদের নিয়ে অসন্তুষ্টি— ইঙ্গিত করলেন নুর

আলোচনার এক পর্যায়ে নুর মন্তব্য করেন, “জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, সেখানে এখন স্পষ্ট ফাটল দেখা যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রদের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিরক্ত — এমন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন দিক থেকে। কিন্তু ছাত্রদের কথা না শুনে কি দেশে গণআন্দোলন জমে?”

তিনি আরও বলেন, “এ দেশে যারা গণতন্ত্র চায়, তাদের সঙ্গে সমন্বয় না করে উপদেষ্টারা করিডর-নির্ভর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এতে করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।”

ওয়ান-ইলেভেনের ছায়া এখনও তাড়া করছে: অভিযোগ

প্রধান উপদেষ্টাকে ঘিরে নতুন করে ওল্ড ওয়ান-ইলেভেন গোষ্ঠীর প্রভাব থাকার অভিযোগও তোলেন নুর। তিনি বলেন, “আজকের উপদেষ্টা পরিষদের পেছনেও এক ধরনের ওয়ান-ইলেভেন ধাঁচের দুষ্টু চক্র কাজ করছে। যারা মনে করে জনগণের পরিবর্তে কিছু চেম্বার সিদ্ধান্ত বা বিদেশি পরামর্শেই রাষ্ট্র চলবে।”

নুর বলেন, “আমরা গণহত্যার বিচার চাই, চাই রাষ্ট্রীয় সংস্কার। চাই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ বা কাঠামোগত আলোচনা কিছুই নেই। শুধু ধোঁয়াশা।”

নির্বাচন ছাড়া সংকটের সমাধান নয়

গণ-অধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, “বাংলাদেশে যদি অনির্বাচিত বা প্রশ্নবিদ্ধ কোনো সরকার গঠন হয়, তাহলে সংকট কখনও কেটে যাবে না। এ সংকটের সমাধান শুধু একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও সময়োপযোগী নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব।”

তিনি সংলাপ নিয়ে বলেন, “বিগত সময়ে জাতীয় সংলাপ হয়েছে বিভিন্ন ইস্যুতে। তাহলে এখন কেন সেই উদ্যোগ নেই? সংলাপ ছাড়া কীভাবে সুষ্ঠু সমাধান আশা করা যায়?”


 

নুরুল হক নুরের বক্তব্য দেশের রাজনীতিতে এক নতুন দিকচিহ্ন হতে পারে। যেখানে সরকারের পাশাপাশি বিকল্প শক্তিগুলোকেও দায়ী করে একটি গঠনমূলক প্রক্রিয়া দাবি করা হচ্ছে। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এ ধরনের স্পষ্ট বার্তা রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় আলোচনার জন্ম দেবে বলেই ধারণা করা যায়।

Keine Kommentare gefunden