আমার সিক্স প্যাক মোটামুটি চলে এসেছে : জায়েদ খান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে বসেই নিজের চেহারা ও শরীরকে আমূল বদলে ফেলেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তিন মাসে ১৬ কেজি ওজন কমিয়ে এখন সিক্স প্যাকের দোরগোড়ায় তিনি। নিজের ইচ্ছায় শুরু করা এই রূপান্তর এখন রীতিমতো ভাইরাল!..

দেশের আলোচিত চিত্রনায়ক ও শিল্পী সংঘের সাবেক নেতা জায়েদ খান বর্তমানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। গেল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সেখানে নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। তবে শুধু অনুষ্ঠানে অংশ নিতেই নয়, তিনি নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কারের একটি বড় যাত্রায় নেমেছেন—যেখানে কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ফিটনেস এবং একেবারে ভিন্ন এক জায়েদ খান।

গত সাড়ে তিন মাস ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এলএ ফিটনেস সেন্টারে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে শরীরচর্চা করে যাচ্ছেন। পরিশ্রমের ফল ইতোমধ্যেই পাওয়া যেতে শুরু করেছে। নিজেই জানালেন, "আসলে আমার সিক্স প্যাক মোটামুটি চলে এসেছে। আর কিছুদিন নিয়ম মেনে চললেই শরীরে দাগগুলো স্পষ্ট হয়ে যাবে।

জায়েদ খানের এই পরিবর্তন কোনো সিনেমার প্রয়োজন কিংবা চরিত্র প্রস্তুতির অংশ নয়। বরং নিজের জীবনধারায় ইতিবাচক এক পরিবর্তন আনতেই এই কসরত শুরু করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “এই তিন মাসে প্রতিদিন আড়াই ঘণ্টা করে জিম করেছি। খাওয়া-দাওয়া পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। কোনো মাংস, ফার্স্ট ফুড, কোমল পানীয়, এমনকি চিনি পর্যন্ত খাইনি।

জায়েদের ভাষায়, “ভেতর থেকে শরীরটা যেন একেবারে বদলে গেছে। আগে মাঝেমধ্যে শরীরের এখানে-সেখানে ব্যথা হতো, হঠাৎ টান লাগত। এখন আর কোনো সমস্যাই নেই। খুবই ফুরফুরে লাগে। মনে হয় বয়সটাই যেন কমে গেছে। জিমে গেলেই অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করে।”

জায়েদ খান তার দৈনন্দিন রুটিনও বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। সকাল শুরু হয় ওটস দিয়ে, সঙ্গে থাকে ফ্যাট ফ্রি দুধ, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং বাদাম। দুপুরে খান এক কাপ লাল চালের ভাত, ব্রুকলি ও সিদ্ধ স্যালমন। প্রতিদিনের ডায়েটে থাকে প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল। পুরো ডায়েট পরিকল্পনাই তেল, চিনি ও ফাস্টফুড মুক্ত।

তিনি জানান, “আমরা তো কেউই জানি না মৃত্যু কখন আসবে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত সুস্থ থাকা খুব জরুরি। সুস্থ না থাকলে জীবনের কোনো কিছুতেই আনন্দ আসে না।

এই পরিবর্তনের পেছনে শুধু জিম নয়, মানসিক শান্তিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, “প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি। অনেক ঘুমাই, রিল্যাক্স থাকি। এটা শরীর-মন দুই দিক থেকেই আমাকে অনেকটাই ভারমুক্ত রেখেছে।”

শুধু ব্যক্তিগত উন্নতিই নয়, পেশাগত দিকেও নতুন মাত্রা যোগ করছেন জায়েদ খান। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনপ্রিয় বাংলা মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ঠিকানা’-তে যুক্ত হয়েছেন। এই প্ল্যাটফর্মেই শিগগির শুরু হতে যাচ্ছে তার উপস্থাপনায় টক শো ‘ফ্রাইডে নাইটস উইথ জায়েদ খান’। জানা গেছে, এখানে থাকবে বিনোদন, বিশ্লেষণ ও অতিথিদের নিয়ে মজার সব আলাপচারিতা।

নতুন রূপে হাজির হওয়া জায়েদ খান এখন যেন আর শুধুই একজন অভিনেতা নন—তিনি এক নতুন অনুপ্রেরণা। যারা শরীর, স্বাস্থ্য কিংবা জীবন নিয়ে হতাশ, তাদের জন্য এই রূপান্তর হতে পারে এক বড় বার্তা: ইচ্ছা থাকলেই বদলে ফেরা যায়।

No comments found