close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

আমাকে ৪-৫ বার নোবেল দেওয়া উচিৎ , ট্রাম্পের দাবি,

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মনোনয়ন দিয়েছে। আর এই খবরে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ট্রাম্প বললেন, "আমার তো ৪-৫ বার নোবেল পাওয়া উচিত!" ভারত-পাক......

বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম বিতর্কিত ও আলোচিত চরিত্র সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের একবার শিরোনামে।
এইবার তিনি আলোচনায় এসেছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে নিজের দাবি ঘিরে।
আর এর পেছনে আছে পাকিস্তান সরকারের একটি ঐতিহাসিক ঘোষণা—
২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সরকারিভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মনোনয়ন দিয়েছে ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দীর্ঘমেয়াদি উত্তেজনা প্রশমনে ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
"ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যেই ট্রাম্প যে অসাধারণ কূটনৈতিক দূরদৃষ্টি এবং দৃঢ় পদক্ষেপ দেখিয়েছেন, তা অবশ্যই শান্তির জন্য এক উজ্জ্বল উদাহরণ,- বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

পাকিস্তানের ভাষ্যমতে, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২০২0-এর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।
পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত খারাপের দিকে যাচ্ছিল।
কিন্তু ঠিক সেই সময়েই ট্রাম্প কৌশলী উদ্যোগ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চাপ কমান এবং শান্তি ফিরিয়ে আনেন।
ইসলামাবাদের দাবি, ট্রাম্পের হস্তক্ষেপেই "বৃহত্তর সংঘাত" এড়ানো সম্ভব হয়েছে,
এবং লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে।

এই প্রেক্ষিতেই ইসলামাবাদ মনে করছে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রাখায় ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত।

পাকিস্তানের এমন ঘোষণার পর এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন—
নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে তাঁর মন্তব্য কী?

ট্রাম্পের উত্তর ছিল তার চেয়েও বেশি আলোড়ন জাগানো।
তিনি বলেন,আমার তো ৪ থেকে ৫ বার নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া উচিত। শুধু পাকিস্তান-ভারত নয়, সার্বিয়া, কসোভো, রুয়ান্ডা, কঙ্গো— সব জায়গাতেই আমি শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। কিন্তু ওরা (নোবেল কমিটি) আমাকে দেবে না, কারণ আমি ট্রাম্প।

তিনি আরো বলেন,সবচেয়ে বড় শান্তির কাজ আমি করেছি ভারত-পাকিস্তানের ক্ষেত্রে। পরমাণু যুদ্ধ থেমেছে। এর চেয়ে বড় অর্জন আর কী হতে পারেন।

বিগত কয়েক বছর ধরেই ট্রাম্প একাধিকবার প্রকাশ্যে দাবি করে আসছেন,
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম বিবেচিত হওয়া উচিত।
তবে এবার তাঁর কণ্ঠে ক্ষোভও স্পষ্ট।
তিনি বলেন,আমি যখন কিছু করি, তখন সেটা নিয়ে কেউ বলে না। কিন্তু অন্য কেউ ছোটখাটো কিছু করলেই, তার নাম চলে যায় নোবেলের তালিকায়। এটি পক্ষপাতদুষ্ট এবং রাজনৈতিক।

ট্রাম্পের মতে, তাঁর বৈশ্বিক শান্তি উদ্যোগগুলো ন্যায়সংগত মূল্যায়ন পায় না শুধুমাত্র রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে।
তিনি বলেন,আমার যদি ডেমোক্র্যাটিক পরিচয় থাকত, তাহলে এতদিনে আমি ৪-৫টা নোবেল জিতে ফেলতাম।

ট্রাম্পের দাবি ও পাকিস্তানের মনোনয়ন নিয়ে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসা ও সমালোচনার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কেউ কেউ বলছেন,ট্রাম্প কৌশলী রাজনীতিক। শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান অস্বীকার করা যায় না।

আবার কেউ কেউ এই মনোনয়নকে "রাজনৈতিক চাল" বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
তাদের মতে, পাকিস্তান হয়তো ট্রাম্পকে খুশি করতে চাইছে ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক সম্পর্কের দিকে তাকিয়ে।

No se encontraron comentarios


News Card Generator