নিজস্ব প্রতিবেদক |
দেশের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির পরিবারের এখন মানবেতর জীবনযাপন। দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়ার পর থেকে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে তার পরিবার। একমাত্র অক্ষত থাকা গোয়ালঘরই এখন তাদের রাত কাটানোর আশ্রয়স্থল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস মিললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কাফির বাবা এবিএম হাবিবুর রহমান।
কয়লা ছাড়া কিছু নেই, প্রশাসন আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ হয়নি" – কাফির বাবা
কান্নাজড়িত কণ্ঠে কাফির বাবা বলেন,
"আমাদের পরিবারের ছয়জন সদস্য নিয়ে এখন অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। চোখের সামনে শুধু কয়লা আর ধ্বংসস্তূপ! প্রশাসন বারবার আশ্বাস দিচ্ছে, কিন্তু এখনো বাস্তবে কোনো সাহায্য পাইনি।"
কাফির প্রতিবেশী ওয়ালি উল্লাহ ইমরানও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
"কাফি সমাজসচেতন একজন মানুষ। তার কনটেন্ট তরুণদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তিনি ‘জুলাই আন্দোলনে’ সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন বলেই তাকে শত্রুতার শিকার হতে হলো। প্রশাসনের উচিত দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনা।"
সরকারের প্রতি কাফির হুঁশিয়ারি: "৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে বিপ্লবী সরকারের ডাক দেব!"
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে কাফি বলেন,
"আমার ঘর পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে, আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে একমাত্র গোয়ালঘরেই রাত কাটাতে হচ্ছে। আমি সরকারকে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছি। যদি এই সময়ের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার ও ঘর পুনর্নির্মাণ না করা হয়, তাহলে আমি বিপ্লবী সরকারের ঘোষণা দেব!"
ইতোমধ্যে আলটিমেটামের তিন দিন পেরিয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তদন্ত কমিটি হয়নি, প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ!
এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেনি। কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তারা তদন্ত করছে এবং দ্রুত রিপোর্ট দাখিল করবে।
তবে, কাফির দাবি,
"আমি দেশের জন্য কথা বলেছি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি। তাই আজ আমাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন যদি সত্যিই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চায়, তাহলে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক।"
শেষ কথা
নুরুজ্জামান কাফির পরিবারের দুর্দশা দেখে এলাকাবাসীও ক্ষুব্ধ। স্থানীয়রা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, সরকার ও প্রশাসন কাফির দেওয়া আলটিমেটামের আগে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয় কি না!
कोई टिप्पणी नहीं मिली



















