close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

আগামীকাল বিকাল ৫ টায় হিরো আলমের জানাজা!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Hero Alom shocked social media by announcing his own funeral for tomorrow at 5 PM. His post has sparked intense debate and reactions online.

সোশ্যাল মিডিয়ায় আগামীকাল বিকাল ৫টায় নিজের জানাজার ঘোষণা দিয়ে চমকে দিলেন হিরো আলম। পোস্টটি ঘিরে নেট দুনিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

বাংলাদেশের আলোচিত মুখ আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সোমবার বিকেলে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি জানান, আগামীকাল বিকাল ৫টায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। হঠাৎ এমন ঘোষণা দেওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, কেউ হতবাক, কেউ কৌতূহলী, আবার কেউ সমালোচনায় মেতে উঠেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিনোদনের অন্যতম আলোচিত জুটি হিরো আলম ও রিয়ামণি। নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, বিকৃত সুরে গান গাওয়া, ভুলভাল সংলাপ এবং অদ্ভুত কনটেন্ট দিয়ে আলোচনায় আসা এই জুটির সম্পর্ক সবসময় ছিল মানুষের কৌতূহলের কেন্দ্রে। রাজনৈতিক অঙ্গনেও পদচারণা করেছেন হিরো আলম। আওয়ামী লীগ আমলে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি ব্যাপকভাবে আলোচিত হন।

তবে সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনে বড় ধাক্কা খান হিরো আলম। কয়েকদিন আগে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। সেই সময় থেকেই রিয়ামণির সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন আবারও প্রকাশ্যে আসে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রিয়ামণিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে না করলেও তারা একসাথে সংসার করছিলেন। কিন্তু বাবার মৃত্যুর সময় রিয়ামণির অবহেলার অভিযোগ তোলেন আলম এবং প্রকাশ্যে সংসার না করার ঘোষণা দেন।

এমন পরিস্থিতিতেই আরেকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। রিয়ামণি সম্প্রতি হিরো আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। যদিও পরবর্তীতে নিজেদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে সেই মামলা প্রত্যাহার করা হয়, কিন্তু সম্পর্কের ভাঙন রয়ে যায়।

এরপরই ১২ আগস্ট বিকেলে হিরো আলম নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে লেখেন—
"রিয়ামনি মিথ্যা কথা বলে তালাক আর পরকীয়া মেনে নিতে পারলাম না। হিরো আলমের ওষুধ খেয়ে মরে না, আজকে সত্যি সত্যি মারা যাবো। রিয়া মনি, ভালোবাসা মিথ্যে ছিল, মেনে নিতে পারলাম না। রিয়ামনি কতো ভালোবাসি, আজকে নিজেকে শেষ করে বুঝে দিবো আমি রিয়াল ছিলাম। কাল বিকাল ৫টায় জানাজা আমার নিজ বাসায়।"

পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। অসংখ্য মানুষ কমেন্ট করে তাকে ধৈর্য ধরতে অনুরোধ জানান। অনেকে তার মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে সমালোচকরা পিছপা হননি; কেউ কেউ তার এই ঘোষণাকে 'প্রচারণার নতুন কৌশল' বলে আখ্যা দেন। একজন মন্তব্য করেন, "ঢাকা ১৭ আসনের ইলেকশন করবে কে তাহলে?" আবার অন্য কেউ লেখেন, "এবার হয়তো দেশের মানুষ একটু শান্তি পাবে।"

হিরো আলমের এই পোস্টের সত্যতা নিয়ে এখনো পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে একটাই আলোচনা— সত্যিই কি তিনি এমন কোনো চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন, নাকি এটি কেবল নতুন করে আলোচনায় আসার একটি নাটকীয় কৌশল?

যা-ই হোক, এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করেছে, হিরো আলমের প্রতিটি পদক্ষেপই জনমত এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন তোলে। তার আগামী দিনের অবস্থান ও সিদ্ধান্ত এখন সবার নজরে।

もっと見せる