কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে নতুন করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন চকরিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বুধবার অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে তাকে ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা এবং নির্বাচনী আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে এ রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।
চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী মো. গোলাম সরওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জাফর আলমকে চকরিয়া থানায় দায়ের করা পাঁচটি মামলায় মোট ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাষ্ট্রপক্ষে জানান, ২০১৮ সালের টৈটং বটতলী ও শফিকিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রগুলোতে ভোট চলাকালীন সময়ে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের মারধর এবং ব্যালট পেপারে সিল মেরে ভোটের ফলাফল প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে।
আদালত উভয় পক্ষের যুক্তি-প্রত যুক্তি শুনার পর এ মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর আগে গত ১৮ জুন একই আদালত চকরিয়া থানার পাঁচটি ও পেকুয়া থানার দুইটি মামলায় মোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল। এর মধ্যে পাঁচটি মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। বাকি দুই মামলায় তাকে চার দিনের রিমান্ডের জন্য বুধবার পেকুয়া থানায় হাজির করা হয়েছে।
জাফর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ভোট প্রক্রিয়ায় অবৈধ হস্তক্ষেপ ও সহিংসতা ঘটানোর, ভোটারদের প্রভাবিত করার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই মামলায় আরো ৫০-৬০ জন আসামি রয়েছে।
স্থানীয়রা এই ঘটনাকে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই রিমান্ডের কারণে কক্সবাজার-১ এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
চকরিয়া পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ভোট প্রক্রিয়া সুষ্ঠু রাখতে তারা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভবিষ্যতেও যে কোনো অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সাবেক এমপি জাফর আলম রিমান্ডে থাকবেন বলে জানা গেছে। এই মামলার আদালত আগামী দিনগুলোতে আরো শুনানি পরিচালনা করবে।
এই রিমান্ডে আদালত জনমত ও আইনের প্রতি আস্থা বৃদ্ধির এক সংকেত হিসেবে মূল্যায়ন করছেন আইনজীবী ও বিশ্লেষকরা।