close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

আ. লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত, ধৈর্য ধরার আহ্বান সরকারের..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি এখন সরকারের নীতিনির্ধারণী টেবিলে! ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পর এবার বড় সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। জাতিসংঘের প্রতিবেদন ও জনমতের প্রেক্ষিতে সব রাজনৈতিক দলের সঙ..

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মোড়! আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দেশের রাজপথে যখন উত্তাল জনতা ও ছাত্রসমাজ, তখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতিতে জানিয়েছে—এই দাবিকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে’ বিবেচনা করছে তারা।

আজ শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, “স্বৈরাচার ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির প্রেক্ষিতে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। শিগগিরই আলোচনা করে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ে জাতিসংঘ যে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।”

এদিকে, শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে মিন্টো রোডে একটি অস্থায়ী মঞ্চে জড়ো হতে দেখা গেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও নাগরিক সংগঠনগুলোকে। তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে দিতে সরকারের প্রতি দ্রুত সিদ্ধান্ত ঘোষণার দাবি জানায়। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এক ছাত্রনেতা বলেন, “ছাত্রলীগের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শুরু হয়েছে, এবার সময় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার।”

প্রসঙ্গত, সরকার ইতোমধ্যে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, “জনগণের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রচলিত আইনের আওতায় ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিষয়েও একই প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।”

সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার কাজ শুরু হয়েছে।

এছাড়াও, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল হামিদের বিদেশে গমন নিয়ে জনমনে যেভাবে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা সম্পর্কে সরকার সচেতন। সরকার জানিয়েছে, “হত্যা মামলার আসামি একজন ব্যক্তির বিদেশে পালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই ঘটনার সঙ্গে যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান সরকারের এমন পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। তাঁরা বলছেন, “এই মুহূর্তে সরকার এক গুরুত্বপূর্ণ সীমানায় দাঁড়িয়ে আছে। যেকোনো সিদ্ধান্তই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক গতি প্রকৃতি নির্ধারণ করবে।”

একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের বৃহৎ দলগুলোর একটি হলেও, তাদের ওপর যেভাবে আন্তর্জাতিক মহল এবং দেশের জনগণ ক্ষুব্ধ হয়েছে, তাতে দলটি নিষিদ্ধ হলে তা বিস্ময়কর হবে না।”

এদিকে সরকারের ধৈর্য ধারণের আহ্বানে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে বিভিন্ন মহলে। কেউ একে ইতিবাচক, কেউ আবার সময়ক্ষেপণ বলেও মনে করছেন। তবে সর্বস্তরের মানুষ এখন তাকিয়ে আছে সরকারের পরবর্তী ঘোষণার দিকে।


বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক উত্তাল অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা হবে কি না, সেটি এখন সময়ের অপেক্ষা। তবে ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ ঘোষণার পর যেভাবে একের পর এক সিদ্ধান্ত আসছে, তাতে মনে হচ্ছে সরকার আর দেরি করতে চাচ্ছে না।

দেশজুড়ে গুঞ্জন—এই সপ্তাহেই আসতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

Hiçbir yorum bulunamadı


News Card Generator