close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

আ. লীগ নিষিদ্ধ রা জ নৈ তি ক ভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত হয়নি ,বি এন পি নেতা মীর শাহে আলম..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপি নেতা মীর শাহে আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা রাজনৈতিকভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। ভোটাধিকার আন্দোলনের পক্ষে থাকলেও তিনি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিরোধিতা করেন।..

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিকভাবে অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, “জামায়াত এবং নতুন একটি রাজনৈতিক দল মিলে মাত্র তিনদিনের ভুয়া আন্দোলন করেই বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন রাজনৈতিক দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা রাজনৈতিকভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমি বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে মনে করি না।”

গত ২১ জুন, শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলায় অনুষ্ঠিত লীলা কীর্তন ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন মীর শাহে আলম। তিনি বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আমাদের আন্দোলনের মূল দাবি ছিল একটি সুষ্ঠু, অবাধ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। শেখ হাসিনা যদি দেশের মানুষকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতেন, তাহলে দেশে কোনো ধরনের আন্দোলনের প্রয়োজনই হতো না।

তিনি আরও বলেন, “আন্দোলনের পর আমরা বলেছি—আওয়ামী লীগ সরকারের যেসব ব্যক্তি অন্যায় করেছে, দুর্নীতি করেছে, ভোট চুরি করেছে—আমরা তাদের বিচার চাই। কিন্তু আমরা সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই না। সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হয় না, বরং পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।”

মীর শাহে আলমের এই মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। বিএনপির কিছু নেতা তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন, আবার কেউ কেউ বলেছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন বক্তব্যে সরকার শক্তিশালী বার্তা পেতে পারে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই এমন বক্তব্যকে ‘নাটকীয় ও দ্বিমুখী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের এক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সরকারপক্ষের দাবি ছিল, আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য, সহিংসতা এবং সাংবিধানিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অনেকে বলছেন, বিএনপি একদিকে সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে, অপরদিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করছে—এতে রাজনৈতিক বার্তা দ্বিধান্বিত। তবে মীর শাহে আলম বলছেন, “আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই মতাদর্শগত বিরোধিতা থাকলেও রাজনৈতিক দল হিসেবে কারো অস্তিত্বকে মুছে ফেলা আমাদের নীতির সঙ্গে যায় না।”

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ ধরনের স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন বক্তব্য এখন বিরল। বিএনপি নেতা মীর শাহে আলমের এই উক্তি শুধু দলীয় নয়, গোটা রাজনৈতিক সংস্কৃতির দিকেই এক গভীর প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে—রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিষিদ্ধ করে কি গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখা সম্ভব?

Ingen kommentarer fundet


News Card Generator