গণঅধিকার পরিষদ জুলাই মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যার শুরু হয় ১ জুলাই থেকে। কর্মসূচির প্রথম দিনে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন (২০১৮-২০২৪)’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ বিষয়ে বক্তব্যে গভীর হতাশা প্রকাশ করেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নুর বলেন, “কয়েকদিন আগে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা দুঃখজনক। আমরা গণঅধিকার পরিষদ আপস করবো না।” তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু সময়ের জন্য আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত থাকতে পারে, কিন্তু দলের পুরোপুরি নিষিদ্ধের কথা নেই।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুন মাসে লন্ডনের চ্যাথাম হাউস আলোচনায় উল্লেখ করেছিলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে,’ যা নিয়ে নুরের প্রতিক্রিয়া ছিল স্পষ্ট, আওয়ামী লীগ নিয়ে কোনো আপস নয়।
নুর আরও বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল বা উপদেষ্টা কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। জাতীয় সরকার গঠনের দাবি সত্ত্বেও তা না হওয়ায় আজকের রাজনৈতিক বিভাজনের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কিছু দল নিজেদের ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে, যা বিভাজনের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’
জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানকে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেখার আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, ‘জুলাই মাস বিভাজন নয়, ঐক্যের প্রতীক। কিন্তু কিছু দল ক্ষমতায় যেতে গিয়ে বিভেদের বীজ বুনছে, যা সবার দূরে থাকা উচিত।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান প্রমুখ।
মাঠ পর্যায়ের সংগঠকরা বলেন, দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হলে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সুস্থ সমঝোতা প্রয়োজন। জাতীয় ঐক্য ছাড়া দেশের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে থাকবে।
গণঅধিকার পরিষদ জোর দিয়েছেন, আগামিদিনে দেশের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক সংস্কারে বাধাগ্রস্ত কোনো শক্তিকে ছাড় দেয়া হবে না, এবং মানুষের অধিকার রক্ষায় তারা সব ধরনের আন্দোলনে সক্রিয় থাকবে।