গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অন্যতম ফাহিম মাতব্বর (১৯), যিনি সালথা উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ও রামকান্তপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফারুক মাতব্বরের ছেলে। ফাহিমের চাচা লাবলু মাতব্বর ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া রবিউল ইসলামের বাবা বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
তবে চমকপ্রদ তথ্য হলো, গ্রেপ্তার হওয়া বিমল কুমার সরকার নিজেই মাচ্চর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। যা এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিভ্রান্তি এবং দলীয় বিভাজনের প্রশ্নও তুলে দিয়েছে।
বাকিরা হলেন—সালথার সোলাইমান মাতুব্বরের ছেলে হাসিবুল (১৯), ঝন্টুর ছেলে আকাশ (১৯), দাউদ শেখের ছেলে বিল্লাল হোসেন (১৯), গুড়দিয়া গ্রামের নয়া মাতুব্বরের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০), মধুখালী উপজেলার আসাদুজ্জামান মোল্যার ছেলে বাবু মোল্যা (১৯), এবং গন্দাখালী গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে সোয়াদ (১৯)।
পুলিশের দাবি কী বলছে?
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, “তারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঢাকা-ফরিদপুর মহাসড়কের চন্ডীপুর এলাকায় তারা জড়ো হয়ে রেললাইন ও মহাসড়ক অবরোধের পরিকল্পনা করছিল। গোপন তথ্য পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।”
পুলিশ জানায়, বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও প্রতিক্রিয়া:
এই ঘটনার পর ফরিদপুরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা আরও বাড়তে পারে। বিশেষ করে বিরোধী দল ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সংশ্লিষ্টতা থাকায় ঘটনাটির রাজনৈতিক তাৎপর্য অনেক গভীর।
এখন দেখার বিষয়, এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে কী প্রতিক্রিয়া আসে এবং আগামী দিনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়।