close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
৯১২ প্রকল্পে অচলাবস্থা: অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রে বেরিয়ে এলো হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাট


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে ৭ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ৪০ শতাংশ অর্থ লুটপাট হয়েছে। এই দুর্নীতির প্রভাব পড়েছে ৯১২টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ওপর। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের এডিপিতে ৯১২টি নতুন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই অনুমোদন পায়নি। এর মধ্যে গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধায় ১৮৬টি, কৃষিতে ১১৩টি, এবং পরিবহণ ও যোগাযোগ খাতে ৭৬টি প্রকল্প রয়েছে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতে রয়েছে স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, এবং পরিবেশ।
আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, "এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি, তাই প্রকল্পগুলো নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে সংশোধিত এডিপির সময় হয়তো কিছু সিদ্ধান্ত আসতে পারে।"
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিল করা জরুরি। সাবেক পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ বলেছেন, "সব প্রকল্প বাতিল বা অনুমোদন দেওয়া উচিত নয়। যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো বেছে নেওয়া দরকার।"
নতুন প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:
পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে রূপান্তর।
ঢাকার মহাখালীতে বঙ্গবন্ধু স্বাস্থ্য নগরী স্থাপন।
বড় পুকুরিয়া ও কাপ্তাইয়ে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ।
ঢাকার শেরেবাংলা নগরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসন প্রকল্প।
বিশেষজ্ঞরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, নইলে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন স্থবির হয়ে পড়বে। এদিকে, প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে জনগণের মধ্যেও চরম অনিশ্চয়তা এবং উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত উপসংহার:
বিগত সরকারের দুর্নীতির কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে উন্নয়ন কার্যক্রমে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
Inga kommentarer hittades